ওই ঘটনায় নিহত রিকশাচালক মাহমুদুল হকের স্ত্রী শাহীনা আক্তার বাদি হয়ে সোমবার মামলা করেন বলে জানান কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।
মামলায় কাদের আসামি করা হয়েছে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ওসি মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি তদন্তের। আগে থেকে নাম উল্লেখ করা হলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যাবে।”
তবে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মামলায় ভবনমালিক দুই সহোদর অমল বড়ুয়া ও টিটু বড়ুয়ার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজন সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে।
বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় রোববার সকালে বিস্ফোরণে সাতজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হন। হতাহতরা সবাই ওই বাড়ির বাসিন্দা ও পথচারী।
নিহতরা হলেন- স্কুল শিক্ষিকা এনি বড়ুয়া (৪০), গৃহবধূ জুলেখা খানম ফারজানা (৩৩), তার দ্বিতীয় শ্রেণিপড়ুয়া সাত বছর বয়েসী শিশু আতিকুর রহমান শুভ, রিকশা চালক আব্দুল শুক্কুর (৫০), ভ্যানচালক মো. সেলিম (৪০), রঙ মিস্ত্রি নুরুল ইসলাম (৩১) ও মাহমুদুল হক (৪০)।
বিস্ফোরণে ওই ভবনের নিচতলার দেয়াল ও সীমানাপ্রাচীর ধসে রাস্তার ওপর পড়লে পথচারী ও চলতিপথের যাত্রীরাও হতাহত হন। বড়ুয়া বিল্ডিংয়ের আশেপাশের কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিস্ফোরক অধিদপ্তর বিস্ফোরণের জন্য গ্যাস লাইনের তৃটিকে চিহ্নিত করলেও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড (কেজিডিসিএল) তা নাকচ করে গ্যাস লাইনের কোনো ত্রুটি ছিল না বলে দাবি করেছে।