কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খায়ের আহমেদ মজুমদার সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুর্ঘটনা গ্যাস লাইন থেকে হয়নি এটি তারা তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছেন।
“আমরা গ্যাসের রাইজার, ওই বাড়ির চুলা এবং গ্যাস লাইন অক্ষত পেয়েছি। রান্নাঘরেও কোনো সমস্যা হয়নি। এ থেকে আমরা নিশ্চিত দুর্ঘটনা গ্যাসের কারণে হয়নি।”
রোববার সকালে ব্রিক ফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণে ভবনের দেয়াল ও সীমানা প্রাচীর ভেঙে সাত জন নিহত হন; আহত হন কমপক্ষে ১০ জন।
ওই ভবনের নিচতলার বাসিন্দা সন্ধ্যা নাথ সকালে পূজার ঘরে মোমবাতি জ্বালাতে দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। ওই ঘটনায় ও তার বড় বোনের মেয়ে অর্পিতাও আহত।
বিস্ফোরণে ওই ভবনের নিচতলার দেয়াল ও সীমানাপ্রাচীর ধসে রাস্তার ওপর পড়লে পথচারী ও চলতিপথের যাত্রীরাও হতাহত হন। বড়ুয়া বিল্ডিংয়ের পাশের ভবন এবং উল্টো দিকের ভবনের নিচতলার দোকানও বিস্ফোরণের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘটনার পরপরই কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) সারোয়ার হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটি রোববার রাতেই প্রতিবেদন জমা দেয়।
সারোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ দুর্ঘটনা গ্যাস থেকে নয়। গ্যাসের বিস্ফোরণ হলে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড হতো, তা হয়নি। সকালে ওই বাসার রান্নাঘরের চুলায় চা বানানো হয়েছে বলে আমরা জেনেছি।”
“ওই ভবনের বাউন্ডারির ভেতরে একটি সেপটিক ট্যাংক আছে সেখান থেকে হয়েছে কি না সেটা দেখা উচিত। দুর্ঘটনার পর ওই ট্যাংকের ঢাকনা খোলা পাওয়া গেছে। প্রশাসনের সমন্বিত তদন্ত কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।”
চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ জে এম শরিফুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত প্রশাসনের কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সদস্য আছেন।
কেজিডিসিএলের এমডি খায়ের বলেন, “প্রশাসনের সমন্বিত তদন্ত কমিটির সাথেও আমরা কাজ করছি। সেটি আরও বৃহৎ পরিসরে তদন্ত করে দেখা হবে।”