চবিতে ভর্তির প্রক্রিয়ায় ত্রুটি তদন্তে কমিটি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ঠাঁই পেয়েও ‘অযোগ্য আবেদনকারী’ অজুহাতে ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়ার ত্রুটি তদন্তে কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2019, 04:49 PM
Updated : 15 Nov 2019, 10:20 AM

নির্বাহী ক্ষমতাবলে উপাচার্য বৃহস্পতিবার চার সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান জানিয়েছেন।

কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী।

প্রক্টর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় কোথাও কোনো ত্রুটি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

“এই কমিটিকে স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইকবাল আহমেদ, সহকারী প্রক্টর ড. হানিফ মিয়া ও উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন।

এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়ে চবির বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় ঠাঁই পাওয়ার পরও একদল শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারছেন না, যারা গতবারও ভর্তির আবেদনের যোগ্য ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে নতুন চালু করা নিয়ম ‘সুস্পষ্ট’ না থাকায় তারা বিভ্রান্ত হয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন। অযোগ্য হলে তাদের আবেদন বাতিল করা হলো না কেন?

পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার পর তারা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অব্যবস্থাপনার’ কারণে তাদের ভবিষ্যত হুমকির মুখে।

ইতোমধ্যে দুই দফায় চবি ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে সংহতি জানিয়েছে চবির ছাত্র সংগঠনগুলোও।

এর মধ্যে গত ২৮ অক্টোবর ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু জাতীয় শিক্ষাক্রমের ইংরেজি মাধ্যমে প্রশ্নপত্রে ত্রুটি ধরা পড়ায় পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত করে ৬ নভেম্বর পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।