বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ এবং সাবেক মন্ত্রী সাদেক হোসেন খোকার স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
নোমান বলেন, “ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, রাজনীতি করলে নিজ দলের আদর্শ ও লক্ষ্যকে মেনে চলে কাজ করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। মানববন্ধন এবং চার দেয়ালের মধ্যে কর্মসূচি পালন করে নেত্রীকে মুক্ত করা সম্ভব নয়।
“বিএনপির স্থায়ী কমিটির উচিত দীর্ঘ সময় বসে আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণ করে কর্মসূচি ঘোষণা করা। সঠিক রণকৌশল ঠিক করে কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারলে দেশনেত্রীর মুক্তি ত্বরান্বিত হবে।”
তিনি বলেন, “সাদেক হোসেন খোকা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, আবার গণতান্ত্রিক আন্দোলনেরও আপসহীন নেতা ছিলেন। সাদেক হোসেন খোকার মধ্যে ছিল মওলানা ভাসানী এবং শহীদ জিয়ার আদর্শ। সেই আদর্শকে তিনি সঠিকভাবে ধারণ করতে পেরেছিলেন বলেই তিনি রাজনৈতিক জীবনে সফল হয়েছেন।”
নোমান বলেন, “জীবিত থাকা অবস্থায় সাদেক হোসেন খোকাকে দেশে আসতে বাধা দিয়ে সরকার জনগণের কাছে ছোট হয়েছে, আর সাদেক হোসেন খোকা মানুষের হ্নদয়ে স্থান করে নিয়েছে। তার বিশাল জানাজা এটাই প্রমাণ করে।”
মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি হোসেন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ।