তিনি বলেছেন, “যারা বিএনপির দুর্নীতিবাজ, তাদের এখনও ধরা হয়নি তো সেজন্য তারা মনে করছে এটি শেষ হয়ে গেছে, তা নয়। বিএনপিতেও যারা দুর্নীতিবাজ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে নানা কিছু অর্জন করেছেন এবং সরকার ও দেশের জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন, সে তথ্যও সরকারের কাছে আছে। সেগুলো নিয়েও সরকার নিশ্চয়ই কাজ করছে।”
বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সেরা করদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন হাছান মাহমুদ।
বিএনপির সমালোচনায় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, “বিএনপি বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ অর্থাৎ অপ্রদর্শিত অর্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জরিমানা দিয়ে সাদা করেছেন।”
তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “তাদের (বিএনপির) অর্থমন্ত্রী যিনি সবসময় ন্যায় নীতির কথা বলতেন, তিনি নিজেও কালোটাকা সাদা করেছেন।”
খালেদা জিয়ার দুই ছেলের দুর্নীতির দায়ে দণ্ড নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “খালেদা জিয়ার দুই পুত্রের দুর্নীতি বিদেশে উদঘাটিত হয়েছে। তারেক জিয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশে এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে এফবিআই। যেটি বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনও ঘটেনি।
“খালেদা জিয়ার প্রয়াতপুত্র কোকোর দুর্নীতি উদঘাটন হয়েছে সিঙ্গাপুরে। কোকোর দুর্নীতির মাধ্যমে পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। যাদের সারা অঙ্গে দুর্নীতি তারা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার রাখেন না।’’
নিজ দলে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি গণসংগঠন। এখানে অন্য দল থেকে যোগ দিতে পারবে না এমনটি নয়। অন্য দল থেকে যোগ দিতে পারে তবে তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও নীতিতে বিশ্বাস করতে হবে।
“আমরা কোনো যুদ্ধাপরাধীকে, যুদ্ধাপরাধের সাথে যুক্ত এমন কাউকে নেব না। যারা নানাভাবে অপকর্মের সাথে যুক্ত এবং আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করেছে তাদের আমাদের দলে সম্পৃক্ত করা সমীচীন নয়।”
অনুপ্রবেশকারীদের যে তালিকা হয়েছে সেটি একেবারে ‘প্রাথমিক’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি যাচাই-বাছাই হচ্ছে। এরপর সত্যিকার অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হবে।
“কেউ যোগ দিলেই তো তাকে অনুপ্রবেশকারী বলা যাবে না, যোগ তো দিতেই পারে। সেটি যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”