মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চলে এই গণশুনানি।
এতে উপস্থিত দুদকের কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, “গণশুনানির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে দুদক।”
তিনি বলেন, ”দুদকের কাজ কাউকে হয়রানি করা নয়, কাউকে ছোট করার উদ্দেশ্যেও দুদক গণশুনানি করে না। তবে মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো কেমন চলছে তা সরেজমিনে দেখার জন্য দুদক এ ধরনের গণশুনানি করে থাকে।’’
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল আলম নিজামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে বন্দর ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ৫২টি লিখিত অভিযোগ তুলে ধরেন।
শুনানি শেষে দুদক কমিশনার আমিনুল বলেন, “অভিযোগের বিষয়ে বন্দর চেয়ারম্যান ব্যবস্থা নেবেন। অনিয়ম দূর করতে তদারকি প্রয়োজন।”
শুনানিতে চট্টগ্রাম বন্দরের হাইস্টার অপারেটর, ক্রেন অপারেটর, হেলমেট অপারেটর এবং চেকারের ঘুষ নেওয়াসহ নানা অনিয়ম তুলে ধরেন সেবা গ্রহীতারা।
এছাড়া বন্দরে কোনো টেবিলে ’স্পিড মানি’ না দিলে সেবা মেলে না বলেও অভিযোগ করা হয়।
সভায় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।