গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে: শাহাদাত

আওয়ামী লীগের শাসনে গণতন্ত্র ‘নির্বাসনে’ গেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2019, 04:22 PM
Updated : 7 Nov 2019, 04:22 PM

৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেছেন, “বর্তমানে আধিপত্যবাদী শক্তির তাঁবেদার একদলীয় সরকারের দুঃশাসনে দেশের মানুষ নির্যাতিত। গণতন্ত্রকে দেওয়া হয়েছে নির্বাসনে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্থানের দিনটিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নগরীর নাসিমন ভবনে তাদের কার্যালয়ের সামনে সভা করে।

মহানগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে রেখেছে। আইন-আদালত, গণমাধ্যম সবই সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিতে দেশের প্রধান বিচারপতিকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।

“তাই ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে।”

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, “বর্তমানে আবার বিদেশি শক্তির ক্রীড়নক সরকার রাষ্ট্রক্ষমতাকে জোর করে আঁকড়ে ধরেছে। সরকারের নতজানু নীতির কারণেই দেশের সার্বভৌমত্ব দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে।

“একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনে দেশের গণতন্ত্র আজ মৃতপ্রায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে বিরোধী দলের ওপর চালাচ্ছে দলন নিপীড়ন। লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় জেলে ঢুকিয়ে সরকার সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে।”

তিনি বলেন, “দেশ আজ নানামুখী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের জালে জড়িয়ে পড়েছে। এ সুযোগে সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, এমপিসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা চরম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। দেশের মানুষ এখন মুক্তির জন্য নতুন এক বিপ্লবের প্রহর গুনছে।”

সভার আগে নাসিমন ভবনের সামনের মাঠে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার জন্য গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

নগর বিএনপির সাংগঠনিক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দীন, শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, গাজী সিরাজ উল্লাহ প্রমুখ।