বুধবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান এ আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীরা হলেন- মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি নূর মো. গুড্ডু, উত্তর পাহাড়তলি ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, যুবদলের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, উত্তর পাহাড়তলি ওয়ার্ড যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম পারভেজ, মো. নেজাম উদ্দিন, জানে আলম, সেলিম ও মনির।
অসুস্থতার কারণে ওই মামলার আরেক আসামি শেখ ইয়াসিন জামিন পেয়েছেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফখরুদ্দিন চৌধুরী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, তারা নাশকতার মামলার আসামি। জামিন পেলে তারা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামিপক্ষ জামিন আবেদন করলে আমরা তার বিরোধিতা করি। শুনানি শেষে আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।”
আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজিম উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের আগে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব গায়েবি মামলা হয়েছিল এটি তার মধ্যে একটি।
“আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তা নাকচ করে দেন।”
অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আবেদন করা শেখ ইয়াসিনের জামিন আদালত মঞ্জুর করেন বলেও জানান আইনজীবী নাজিম উদ্দিন।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর নগরীর পাহাড়তলি এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য একত্রিত হয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে পুলিশ বাদি হয়ে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করে।