মঙ্গলবার দিনভর চলা এ অভিযানে সহায়তা করে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্রিগেডের সদস্যরা।
সকাল নয়টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে ছিলেন সিডিএর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ মঈনুদ্দিন এবং উপপ্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ।
“ভবনগুলোর সামনের দিকের জানালা, দেয়াল ও স্ল্যাবসহ বিভিন্ন অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”
বাকি অংশ ভবন মালিকরা সরিয়ে নেবেন বলে জানান তিনি।
আহমদ মঈনুদ্দিন বলেন, “জামালখানে ১২ তলা ইকুয়টি মিলেনিয়াম ভবনের প্রায় ৭-৮ ফুট অংশ খালের জমিতে ছিল। সেটুকু ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”
“কিন্তু এসব ভবন তো তা অনুসরণ করেনি। উল্টো খালের জায়গা দখল করেছে।”
অভিযানের প্রথম দিন সব ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সিডিএ।
বাকি আরো ১৫টি ভবনে আগামী বুধবারও এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
প্রায় পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ মঈনুদ্দিন বলেন, “এসব খালে প্রায় তিন হাজার দুইশ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ২৭ নভেম্বরের মধ্যে বাকি অবৈধ স্থাপনাগুলোও উচ্ছেদ করা হবে। এরপর সবগুলো খাল আবার পরিদর্শন করা হবে।”
শুরু থেকে খালগুলোর জমিতে থাকা বহুতল ভবনের বিভিন্ন অংশ অপসারণ করতে মালিকদের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো কতটা হয়েছে পরিদর্শনে তা দেখে পুনরায় অবিশিষ্টাংশ উচ্ছেদ করা হবে।”