বুধবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার পর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মো. সোলায়মানকে (৩২) কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তসলিম উদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামি সোলায়মানের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
“পাশাপাশি ছিনতাইয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”
মামলার নথি থেকে জানা যায়, কোতোয়ালী থানার বাণ্ডেল বাই লেইন এলাকায় নিজস্ব তিনতলা ভবনের তৃতীয় তলায় তার ছেলে ফারুক হোসেন ও গৃহকর্মী পপিকে (৭) নিয়ে থাকতেন নূরজাহান বেগম (৭০)।
২০০৯ সালের ১৮ অগাস্ট সকালে ফারুক বাসা থেকে বেরিয়ে নগরীর ফয়’স লেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে যান। রাতে বোসায় ফিরে তিনি মা ও গৃহকর্মীর লাশ পান।
আইনজীবী তসলিম উদ্দীন বলেন, “আসামি সোলায়মান ঘর ভাড়া নেওয়া কথা বলে ওই বাসায় ঢুকেছিল। মালামাল লুট করতে সে পরে নূরজাহান বেগমের গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা । ঘটনা দেখে ফেলায় পপিকেও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সে।
“দুইজনকে হত্যা করে নূরজাহান বেগমের গলার সোনার হার, কানের দুল ও চুড়িসহ মোট তিন ভরি আট আনা স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায় সোলায়মান।”
এ ঘটনায় ফারুক হোসেনের করা মামলায় ২০১০ সালে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত রায় দেয়।