ঘটনার দিন রাতে শাহ আলম যে লেগুনায় করে বাসায় ফেরার পথে খুন হন, সেই গাড়ির চালককে গ্রেপ্তারের পর র্যাব কর্মকর্তারা এ দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার ভোরে নগরীর স্টেশন রোড এলাকা থেকে লেগুনাচালক মো. ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকা থেকে লেগুনাটি জব্দ করা হয়।
বিকালে চালক ফারুক চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম শিপলু কুমার দে’র আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক ও সহকারী পুলিশ সুপার তারেক আজিজ।
কুমিরায় নিজের চেম্বার থেকে রাতে চান্দগাঁওয়ের বাসায় ফেরার পথে তাকে খুন করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে দেয় গাড়িতে যাত্রীবেশে থাকা ছিনতাইকারীরা।
র্যাব কর্মকর্তা তারেক আজিজ বলেন, “লাশ উদ্ধারের পর র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। মঙ্গলবার ভোরে স্টেশন রোড এলাকা থেকে ফারুককে গ্রেপ্তার ও তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়বকুণ্ড থেকে লেগুনাটি জব্দ করা হয়।”
তিনি বলেন, চিকিৎসক শাহ আলম কুমিরায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত ছিলেন। সৌদি আরবের মদিনা হাসপাতালের চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি দেশে এসে কুমিরায় হাসপাতাল করে রোগীদের সেবা দিতেন।
বৃহস্পতিবারও তিনি চেম্বার সেরে ‘বিন মনসুর পরিবহন’ নামের লেগুনায় উঠেছিলেন চান্দগাঁওতে তার বাসায় ফেরার জন্য।
“ছিনতাইকারীদের সাথে চিকিৎসক শাহ আলমের ধস্তাধস্তি হয়। এসময় তারা শাহ আলমকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে ঘাট ঘর এলাকায় লাশ ফেলে দেয়।”
র্যাব কর্মকর্তা তারেক আরও বলেন, শাহ আলমকে মারার আগে লেগুনাটিতে আরও কয়েকজন যাত্রীর কাছ থেকে ছিনতাই করা হয়েছিল।
“ওইদিন তারা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ছিনতাই করেছিল। শাহ আলমকে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার পর লেগুনাটি বাড়বকুণ্ডের দিকে চলে যায় এবং সাগর পাড়ে গিয়ে লেগুনাটি ধুয়ে ফেলে।”
জবানবন্দিতে ফারুক অন্যদের নাম জানালেও তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করেনি র্যাব।