ভোলার ঘটনা নিয়ে নাশকতা: চট্টগ্রামে তিন শিবির নেতাসহ আটক ১৮

ভোলায় সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা নিয়ে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগে চট্টগ্রামে ইসলামী ছাত্র শিবিরের তিন নেতাসহ ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2019, 11:16 AM
Updated : 22 Oct 2019, 01:21 PM

মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত বাকলিয়া থানার শান্তিনগর আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানিয়েছেন।

আটকদের মধ্যে কোতোয়ালি থানার ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি মো. আশরাফুল (২৪), মহাসীন কলেজের ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি মিজবাহ উদ্দীন হাবিব (২৪),দারুল উলুম মাদ্রাসা চন্দনপুরার ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি রাকিবুল হাসান (২১), দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি মো. সাইমন (২৩) রয়েছেন।

ওসি নেজাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোলার ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রামেও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য বাকলিয়া শান্তিনগর আবাসিক এলাকায় শিবিরকর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন সোমবার রাত থেকে।

“ভোরে নামায শেষে তারা মিছিল করে ভাঙচুর, নাশকতাসহ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পরিকল্পনা ছিল বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। অভিযানে গেলে জিএস নামে একটি ভবনের নিচে জড়ো হওয়া লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

“তখন কয়েকজনকে এবং আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে ও বাসায় অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করি। তাদের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”

নেজাম বলেন, জিএস ভবনে তাদের মেস আছে। ছয় তলা সে ভবনের চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ তলার বিভিন্ন ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও ওই ভবনের নিচ থেকে বেশকিছু লাঠিসোটা ও চারটি হাত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন-  ওমর ফারুক (৪৭), আব্দুল করিম (১৮),  আবু ওবাইদা (১৯), আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ (১৮),  মো. শরীফুল (২১),  আমির হোসেন (১৮), সাজ্জাদুল ইসলাম সবুজ (২০), মিজানুর রহমান (১৮),  মো. ফরহাদ(১৮),  মো. সাকিল (১৮), আব্দুল মোমেন (১৯), মো. সাহেদ (৪৯), কামরুল ইসলাম (৪০),  নুরুল হুদা (২২)।

তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।