মঙ্গলবার সকালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় বিভিন্ন বগির নামে চিকা মারা, টি-শার্ট, প্ল্যাকার্ড, স্লোগান সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হলো।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী এ নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
মো. আহসান হাবিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেও ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল।
“তারপরেও দেখা যাচ্ছে যে অনেকেই এই কাজগুলো করছিল। যার কারণে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বগিভিত্তিক চিকামারা, টি-শার্ট, প্ল্যাকার্ড ও স্লোগান দেওয়া নিষিদ্ধ করেছে। চবি ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
বর্তমানে বগিভিত্তিক দেওয়াল লিখনগুলোর বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আলোচনা করে বর্তমানের চিকামারাগুলো রিমুভ করতে হবে।”
কেন্দ্রের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতারা।
চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, “ছাত্রলীগের কোন শাখারই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশ অমান্য করার সুযোগ নেই। যারা এ নির্দেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, “কেন্দ্রের এ নির্দেশনায় চবি ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক রাজনীতির মূলোৎপাটন হয়ে গেল। আমরা এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”
চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শাটল ট্রেনে প্রতিদিন প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষার্থী যাওয়া-আসা করে। এই শাটল ট্রেনে বগিভিত্তিক কমপক্ষে ভমশ কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে ছাত্রলীগে।
বগিভিত্তিক এসব গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঝে মাঝেই দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, যা বেশিরভাগ সময়ই সংঘাতে রূপ নেয়।
২০১৬ সালের ২২ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।