দণ্ডিত মাহমুদুর রহমান হায়দার কক্সবাজারের পেকুয়া ৬ নম্বর শীলখালি ওয়ার্ডের মৃত বজল আহমদের ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণশ্রমিক (রাজমিস্ত্রি)।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেসমিন আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অপহরণের দায়ে আসামি মাহমুদুরকে ১৪ বছরের এবং ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
“পাশাপাশি দুই ধারাতেই ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ অগাস্ট বাঁশখালীর একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী ক্লাস করতে বের হয়ে নিখোঁজ হন।
পরে পুলিশ চট্টগ্রামের কালুরঘাট হামিদচর এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং মাহমুদুরকে গ্রেপ্তার করে। এই যুবক তাদের বাড়ি নির্মাণের কাজ করছিলেন তখন।
এঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে অপহরণ, ধর্ষণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মাহমুদুরকে আসামি করে মামলা করেন।
ওই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ; বিচার শুরু পরের বছর ২৭ অগাস্ট। মামলায় ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।