শনিবার বিকালে প্রীতিলতা হল, শামসুন নাহার হল, শহীদ আব্দুর রব হল ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হল পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক আমি আছি, হলের প্রভোষগণ ও প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা আছেন। আমরা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা, অসুবিধা এবং তারা কেমন আছে দেখতে এসেছি।
“চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো খারাপ কিছু নেই। আমাদের এখানে কোন ‘টর্চার সেল’ নেই।"
সম্প্রতি একটি টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘টর্চার সেল’ আছে বলে দাবি করা হয়।
বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার পর শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবকদের দাবির মুখে হল পরিদর্শন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আল্লাহর রহমতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। ভবিষ্যতে যেন তারা নিরাপদে থাকে সেজন্য আমরা তাদের দেখতে এসেছি। হলগুলো পরিদর্শনের কারণে সব জায়গায় গুণগত পরিবর্তন আসবে।”
আবাসিক হলগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাবে বরাদ্দ আবাসিক শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগতরা থাকে, বিষয়টি অবগত আছেন কিনা জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, “এটা আমার নলেজে আছে, এগুলো একদিনের সমস্যা নয়, অন্তত দশ বছরের সমস্যা।
“সামনে ভর্তি পরীক্ষা আছে। প্রক্টোরিয়াল বডি ও প্রভোস্টদের সাথে কথা বলেছি, ভর্তি পরীক্ষার পর আমরা দেখব কোন হলে কারা এনলিস্টেড আছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলোতে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠির কোনো তৎপরতা নাই।
পরে উপাচার্য মাস্টার্দা সূর্যসেন, শাহজালাল ও সোহরাওয়ার্দী হল পরিদর্শন করেন।