সোলায়মান হোসেন লিটন (২৯) নামে ওই ব্যক্তি ‘পারিবারিক কলহের’ জের ধরে তার স্ত্রী শারমিন আক্তারকে (১৬) হত্যা করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার শারমিন হত্যার পর গ্রেপ্তার লিটন মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রাজমিস্ত্রি লিটন দুই পাঁচলাইশ থানার নাজির পাড়া এলাকার মানিক ভিলায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। শারমিন কোরিয়ান ইপিজেডের একটি কারখানার হিসাব বিভাগে চাকরি করতেন।
সোমবার রাতে শারমিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভুঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্রেপ্তারের পর সোলায়মান আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শারমিনকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
“পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সোলায়মানে দাবি।”
তবে শারমিনের মা চেমন আরা বেগমের অভিযোগ, যৌতুকের কারণে তার মেয়েকে মারধর করতেন লিটন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্রও কিনে দেওয়ার পরও গত দুই মাসে তিন বার মারধর করা হয় শারমিনকে। এ নিয়ে একাধিকবার পারিবারিকভাবে সালিশও হয়।
পাঁচলাইশ থানার এসআই কাজী মাসুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে।
এ ঘটনায় নিহত শারমিনের মা চেমন আরা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।