হাটহাজারী পৌর সদরের মুরগি হাটা এলাকায় ওই গুদামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বাড়তি লাভের আশায় পেঁয়াজ মজুদ করেছিলেন বলে প্রশাসনের কাছে খবর যায়। এর আগে এটি রড-সিমেন্টের গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হত।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েকদিন আগে গুদামটি ভাড়া নিয়ে খাজা গরিবে নেওয়াজ নারিকেল ভান্ডার নাম দেন ব্যবসায়ী আমীর হোসেন। এটি আগে রড-সিমেন্টের গুদাম ছিল।
“ওই গুদামে ৫ টন পেঁয়াজ পাওয়া গেছে। এসব পেঁয়াজের ক্রয় রশিদ দেখাতে পারেননি তিনি। তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি এসব পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে খুচরায় বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
বিক্রির বিষয়টিও তদারক করবেন বলে ইউএনও জানান।
এদিকে উপজেলায় আরও তিনটি পেঁয়াজের আড়ত পরিদর্শন করে খুচরা বিক্রি মূল্য নির্ধারণ করে দেন ইউএনও।
রুহুল আমিন, “তিনটি আড়তে ট্রাকে করে পেঁয়াজ আসে। তাদের বলি, ক্রয় রশিদ না দেখালে আনলোড করতে দিব না। অবশেষে বিকেলে তারা ক্রয় রশিদ দেখায়।
“আড়তদারের কাছ থেকে তারা প্রতি কেজি ৬৬ টাকা দরে কিনেছেন। তাদের বলেছি, খুচরায় প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ৮০টাকা দরে এসব পেঁয়াজ বিক্রি করতে।”
এছাড়া উপজেলা সদরের বিভিন্ন কাঁচা বাজার পরিদর্শন করে পেঁয়াজ বিক্রেতাদের প্রতিকেজি ৮০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশনা দেন ইউএনও।
ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দর হু হু করে বেড়ে যায়। প্রতি কেজি ১০০ টাকাও ছাড়িয়ে যায় দাম।
বাজার সহনীয় করতে মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার তদারকিতে নেমেছে। পাশাপাশি মিশর, মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।