গ্রেপ্তার চারজন হলেন- মো. আরিফ ওরফে আসিফ (২৮), মো. আরমান (২৪), আল মাহীন (২২) ও রবিউল আলম ওরফে রবিন (২০)।
বন্দর নগরীর ষোলশহর এলাকা থেকে মঙ্গলবার চার যুবককে আটকের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, তাদের মধ্যে আসিফ এ চক্রের দলনেতা।
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সম্প্রতি নগরীর ষোলশহর, ফরেস্ট গেইটসহ আশেপাশের এলাকায় পথচারীদের সাথে ইচ্ছে করে ধাক্কা লেগে বিরোধ সৃষ্টি করে টাকা, মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
রাস্তায় চলাচলরত কোনো মানুষকে হঠাৎ ধাক্কা দিয়ে বসে এই চক্রের কোনো একজন। এরপর সাথে সাথে ছুটে আসে অন্যরা।
‘ধাক্কা লাগা’ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে কেন ধাক্কা লেগেছে কৈফিয়ৎ চেয়ে পথচারীকে আলাদা করে এক পাশে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কৌশলে ওই পথচারীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ও টাকা।
এ ধরনের বেশ কিছু অভিযোগ পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ষোলশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের চার সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
রুহুল আমীন বলেন, “এ যুবকরা ষোলশহর ২ নম্বর গেইট এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকে। তাদের টার্গেট করা কোনো পথচারী দেখলে হাঁটার ছলে গায়ের সাথে গিয়ে ধাক্কা লেগে তর্ক শুরু করে দেয়।
“এসময় অন্যরা এগিয়ে এসে পথচারীর কাছে ধাক্কা লাগার কারণ জানতে চায়। তর্কের এক পর্যায়ে ওই পথচারীকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধারালো কিংবা আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোবাইল, টাকা ও স্বর্ণের চেইন, আংটি ছিনিয়ে নেয়।”
গ্রেপ্তার যুবকদের কাছ থেকে দুইটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন বলেন, “গ্রেপ্তার আসিফ পেশাদার সন্ত্রাসী। ষোলশহর এলাকায় সে ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত।”
২০১৬ সালে চট্টগ্রামে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা নাছিম আহমেদ সোহেল হত্যাকাণ্ডে আসিফ বহিরাগত হিসেবে সোহেলের ওপর হামলাকারীদের সাথে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিল ।
সোহেল হত্যাকাণ্ডে সে গ্রেপ্তার হয়ে বেশকিছু দিন কারাগারেও ছিল বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই পরিদর্শক।