ক্লাবে জুয়া নয়: নাছির

চট্টগ্রামের ক্লাবগুলোতে অভিযান নিয়ে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানোর পরদিনই ক্লাবে জুয়ার আসর বসানোর বিরুদ্ধে অবস্থান জানালেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2019, 03:32 PM
Updated : 23 Sept 2019, 03:32 PM

ক্লাবে যারা জুয়ার বোর্ড বসাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ক্রীড়া সংগঠক নাছির।

সোমবার নগরীর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমান বাজার এলাকায় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতিবিরোধী এক সভায় বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি।

নাছির বলেন, “সুস্থ বিনোদনের উদ্দেশ্যে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত ক্লাবগুলোতে খেলাধুলা বাদে যদি জুয়ার আসর বসানো হয়, আমি এর পক্ষে নই। এর জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

“আমরা ক্লাব করি নির্মল বিনোদনের জন্য। এর অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ক্রীড়াঙ্গন। এটি একটি পবিত্র অঙ্গন । এটিকে অপবিত্র করার অধিকার কারোর নেই। প্রয়োজনে নিজের সামর্থ্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে নিয়ে ক্লাব পরিচালনা করব।”

তিনি বলেন, “জুয়া, মদ, ক্যাসিনো বসিয়ে ক্লাব পরিচালনার কথা কোথাও নেই। আমাদের সংবিধান ও পবিত্র ইসলাম ধর্মে নেই। “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রিয় ভ্রাতা শহীদ শেখ কামাল, যিনি অনেক বড় ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন, তার নাম ব্যবহার করে জুয়ার আসর বসিয়ে ক্লাব চালাবে- এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যারা জুয়ার বোর্ড বসাবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাই।”

একদিন আগে রোববার চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের মহাসচিব হুইপ সামশুল হক চৌধুরী চট্টগ্রামের ক্লাবগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছিলেন, এতে ক্লাবের ‘সম্মানহানি’ হচ্ছে।

ক্রীড়া ক্লাবগুলোর অর্থায়নের স্থায়ী উৎ না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেছিলেন, তাস খেলা থেকে আয় ক্লাবের কাজে ব্যয় হয়। এভাবে অভিযান চালানো ক্রীড়াঙ্গন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মেয়র নাছির বলেন, “প্রথমত আমাদেরকে নিজেদের শুধরাতে হবে। যদি আমি মদ ও জুয়ার সাথে জড়িত না থাকি, তাহলে আমার বুকে সাহস থাকবে।

“ব্যক্তিগতভাবে ১৯৮৫ থেকে আমিও ক্লাব চালাই। আমি চট্টগ্রাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, দীর্ঘদিন যাবৎ সভাপতি পদে আছি। এ ক্লাব অনেকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি ক্লাবঘর করছি না, কারণ ক্লাবঘর করলে কেউ না কেউ অবৈধ কাজ করবে। আমার ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়ন। এ ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নয় আমার ব্রাদার্স ইউনিয়ন।”

সভায় মেয়র নাছির বলেন, “মাদকসেবী, বিক্রেতা, মাদক বহনকারী ও জঙ্গিবাদে জড়িতরা এই চট্টগ্রাম শহরে থাকার অধিকার নেই। শিগগিরই ৪১টি ওয়ার্ডে মাদক ব্যবসার মতো ঘৃন্য পেশার সঙ্গে জড়িতদের তালিকা তৈরি করে প্রকাশ করা হবে।

“অক্টোবরের ১৫-২৫ তারিখে মধ্যে লালদীঘি মাঠে সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।”

স্থানীয় ওর্য়াড কাউন্সিলর তৌফিক আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস।