এনআইডি জালিয়াতি: চট্টগ্রামে ইসির ৪ অস্থায়ী কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ

এনআইডি জালিয়াতি করে রোহিঙ্গাদের ভোটার করার ঘটনায় চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন অফিসের চার ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2019, 07:29 AM
Updated : 22 Sept 2019, 02:37 PM

রোববার সকালে বন্দরনগরীর লাভ লেইনে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে ওই চারজনকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে চট্টগ্রাম কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ জানান। 

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া চারজন হলেন- কোতোয়ালি থানার ডেটা এন্ট্রি অপরেটর মো. শাহীন, ফাহমিদা আক্তার, বন্দর থানার ডেটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জাহিদ ও ডবলমুরিং থানার ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পাভেল বড়ুয়া। 

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসেইন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই চারজন জেলা নির্বাচন অফিসে অস্থায়ী নিয়োগে কাজ করে আসছিলেন।

এডিসি পলাশ কান্তি নাখ জানান, চার ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের আটক বা গ্রেপ্তারের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাই চলছে।

এক রোহিঙ্গা নারী সম্প্রতি ভুয়া এনআইডি সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাসপোর্ট নিতে গিয়ে ধরা পড়ার পর জালিয়াত চক্রের খোঁজে নামে নির্বাচন কমিশন। রোহিঙ্গা সন্দেহে অর্ধশত এনআইডি বিতরণ আটকে দেয় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।

ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০৭-২০০৮ সালে ব্যবহৃত কিছু অকেজো ল্যাপটপ নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় আরও অন্তত পাঁচটি ল্যাপটপ হারিয়ে যায়। যার দুটি জালিয়াত চক্রের হাতে পড়ে বলে তদন্ত দলের সন্দেহ।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগে দুই দালালকে আটক করার পর তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনকে গ্রপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে সেই ল্যাপটপ দুটির একটি উদ্ধার করা হয়।

পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ল্যাপটপসহ মোস্তফা ফারুক নামে এক অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় যিনি বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অধীনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে কাজ করেছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জয়নালের দেওয়া জবানবন্দিতে বেশ কয়েকজনের নাম এসেছে। যাদের নাম এসেছে তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহ করব। যাচাই বাছাই করে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, তাদের কাছে আরও অনেকের বিষয়ে তথ্য আছে। তারা সেগুলো যাচাই করছেন। এজন্য কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদের মধ্যে কারও কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।