ঢাকায় জুয়া ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম নগরীর তিনটি ক্লাব ঘিরে অবস্থান নেন র্যাব সদস্যরা।
এবং হালিশহর এলাকার আবাহনী লিমিটেড ক্লাব ঘিরে রেখেছেন র্যাব সদস্যরা।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজামউদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদে তল্লাশির এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে জুয়া খেলা হত-এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি। জুয়া খেলার চিপ, কার্ড ও খাতাপত্র পেয়েছি। কিছু টেবিল পাওয়া গেছে সেগুলোতে জুয়ার আসর বসত বলে ধারণা করছি।”
“আমরা সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি।”
এই ক্লাব পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হারুন-আর-রসিদ।
“বছর তিনেক আগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল এর নিয়ন্ত্রণ নেয়।”
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চট্টগ্রাম মহানগরের সহ কমান্ডার খোরশেদ আলম বলেন, তিন বছর আগে খসরু নামে একজনকে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকায় ক্লাবটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। বেশ কিছু দিন ধরে বৃষ্টি হলে পেছনের নালা দিয়ে ক্লাবে পানি ঢোকে।
“ক্লাবটি মেরামত করে না দেওয়ায় ছয় মাস আগে আর চুক্তি নবায়ন করেননি খোরশেদ। এরপর কয়েক মাস ধরে এখানে আর কার্ড খেলা হয় না।”
গত বুধবার ঢাকার ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়াচক্রসহ চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম, মদ, বিয়ার ও জুয়ার কয়েক লাখ টাকা উদ্ধার করে র্যাব। ক্যাসিনো চালানোয় যুবলীগের ঢাকা মহানগরের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চট্টগ্রামেও শুক্রবার রাতে জুয়াবিরোধী অভিযান চালানো হয়। নগরীর আলমাস মোড়ে ‘হ্যাং আউট’ নামের একটি ক্লাবে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে অনুমতি ছাড়া পুল ও স্নুকার খেলা হত, ওই ক্লাব মালিকের ছেলে খলিকুজ্জামান ও কর্মচারী রবিউল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।