সাতকানিয়া থানার ওসি শফিউল কবীর জানান, বুধবার রাতে ওই হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর স্থানীয়রা শামীম নামের ছেলেটির লাশ উদ্ধার করে। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে মারুফা আক্তার (২০) নামের ওই নারী ও তার স্বামী নুরুল আবছারকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত শিশুটির মা রীনা আক্তার এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ওসি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, আবছার এক সময় বিদেশে থাকতেন। তখন ছোট ভাই মো. মামুনের মাধ্যমে তিনি দেশে পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতেন।
বছর খানেক আগে আবছার দেশে ফিরে জানতে পারেন, মামুন সেই টাকা ঠিকমত তার ভাবি মারুফাকে দিতেন না। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই ভাই আলাদা থাকতে শুরু করেন।
এর মধ্যে মাস ছয়েক আগে মামুনও বিদেশ চলে যান। কিন্তু মামুনের স্ত্রী রীনা আক্তারের সঙ্গে আবছার ও তার স্ত্রীর বিবাদ চলতেই থাকে।
মামলার অভিযোগের বরাত দিয়ে ওসি শফিউল বলেন, বুধবার বিকালে শামীমকে শাশুড়ির কাছে রেখে রীনা গরুর জন্য ঘাস কাটতে বিলে যান। এর পর এক ফাঁকে মারুফা শাশুড়ির কাছ থেকে শামীমকে নিয়ে যান এবং শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করে টিউবয়েলের পাশে মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলেন।
এদিকে রীনা বাড়ি ফিরে ছেলেকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে শুরু করেন। রাত ১১টার দিকে টিউবয়েলের পাশে আলগা মাটি দেখে সন্দেহ হলে প্রতিবেশীরা মাটি সরিয়ে শামীমের হাত দেখতে পান।
পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ এসে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে এবং মারুফা ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি শফিউল বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মারুফা শিশুটিকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন।”