বাসা থেকে ‘উধাও’ শিশুটিকে পাওয়া গেল বস্তার ভেতরে

চট্টগ্রামে বাসা থেকে ‘উধাও’ ৪০ দিন বয়সী এক শিশুকে পাওয়া গেছে এক কিলোমিটার দূরে সার্কিট হাউজে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2019, 12:36 PM
Updated : 16 Sept 2019, 01:01 PM

সোমবার দুপুরে কোতোয়ালী থানার কাজীর দেউড়ি মোড়ে সার্কিট হাউসের পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীরের কাছ থেকে থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর জানা যায় শিশুটি এক শিক্ষক দম্পতির সন্তান।

এক রিকশাচালকের কাছ থেকে খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন সার্কিট হাউসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের নায়েক দেবরঞ্জন চাকমা। 

নায়েক দেবরঞ্জন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সার্কিট হাউসে ডিউটি করে আমরা গেইটে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। ওই সময় এক রিকশাচালক এসে আমাকে জানায় পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীরের পাশে বস্তার ভেতর একটি শিশু কাঁদছে।

“আমি দ্রুত সেখানে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুটির চিকিৎসা চলছে।”

শিশুটিকে কাঁথা দিয়ে মুড়ে চটের বস্তায় রাখা হয়েছিল জানিয়ে দেবরঞ্জন বলেন, “সার্কিট হাউসের সীমানা গ্রিলের ফাঁক দিয়ে শিশুটিকে ভেতরে ঘাসের ওপর রাখা হয়েছিল। কে বা কারা শিশুটিকে সেখানে রেখে গেছে সে ব্যাপারে পথচারীরা কিছু জানাতে পারেনি।” 

চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, চিটাগাং গ্রামার স্কুলের (সিজিএস) একজন শিক্ষক বেলা অনুমানিক ১২টার দিকে ৯৯৯ ফোনে করে তার মেহেদীবাগের বাসা থেকে সন্তান চুরির অভিযোগ করেন।

“অভিযোগ পেয়ে আমি ওই বাসায় গিয়েছিলাম। সে সময় এক রিকশাচালক যাত্রী নিয়ে মেহেদীবাগের দিকে যাওয়ার পথে জানায়, সার্কিট হাউসে একটি বাচ্চা পাওয়া গেছে, তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে।

“এরপর শিশুর মা-বাবাকে নিয়ে আমরা হাসপাতালে যাই। সেখানে শিক্ষক দম্পতি তাদের ৪০ দিন বয়েসী কন্যা শিশুটিকে শনাক্ত করেন।”

পুলিশ কর্মকর্তা রিয়াজ বলেন, “সিজিএসের শিক্ষক ওই বাসায় স্ত্রী, ১০ বছর বয়সী আরেক ছেলে ও মাকে নিয়ে থাকেন। শিশুটির মা জানিয়েছেন, শিশুটিকে খাটের ওপর রেখে তিনি চার তলা থেকে নিচে নেমেছিলেন ওষুধ কিনতে। ওই সময় তার শ্বাশুড়ি ছিল বাথরুমে। বাসায় ফিরে শিশুসন্তানকে না পেয়ে ফোন করে স্বামীকে জানান।”

তিনি বলেন, “বাসা থেকে শিশু ‘চুরির’ বিষয়টি রহস্যজনক। কিভাবে শিশুটিকে বাসা থেকে বের করা হল এবং কে বা কারা সেটি নিয়ে সার্কিট হাউসের সীমানা প্রাচীরের কাছে রেখেছে তা তদন্তের বিষয়। আমরা ভবনের এবং কাজীর দেউড়ি ও আশপাশের সিসি ক্যামেরার ‍ফুটেজ সংগ্রহ করছি।”