রোববার হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহম্মদ উল্লাহ রাব্বি প্রক্টর কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তাতে ছাত্রলীগের ওই ছয়জনসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ৮-৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থী রাব্বি বলেন, “মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় রেল স্টেশন এলাকায় আইন বিভাগের ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের সাদাফ কবিরের নেতৃত্বে একই শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শাওন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রমজান হোসাইন, একই শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের রাসেল, সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের রিফাত, মোহনসহ অজ্ঞাত ৮-৯ জন অতর্কিতভাবে আমার উপর আক্রমণ করা করে।
“তারা মোবাইল, মানিব্যাগসহ নগদ তিন হাজার ২৫৭ টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ছিনতাই করে।"
রাব্বির ভাষ্যে, প্রতিবাদ করলে হামলাকারীরা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের অনুসারী বলে দাবি করে।
“কোনো অভিযোগ করলে সভাপতির প্রভাবে ছাত্রত্ব বাতিল ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা", বলেন তিনি।
তবে নিজের নামে অভিযোগ নাকচ করে সাদাফ কবির বলেন, “আমি এই মারধরের বিষয়টা জানি না, শুনিও নাই। এরকম ঘটনা আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোদিন ঘটাইনি। এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।”
এই ঘটনার দায়ভার ছাত্রলীগের নয় বলেও মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যারা হলের রুম ভাংচুর করেছে, তারাই ছাত্রলীগকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এখানে কেউই ছাত্রলীগের পদধারী নয়। সুতরাং এর দায়ভার ছাত্রলীগনেবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ”
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে বলেন, “ছিনতাইয়ের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”