নয় দফা দাবিতে ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ’ নামের সংগঠন রোববার থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। তবে এ ধর্মঘটে সমর্থন নেই অধিকাংশ পরিবহন মালিক, শ্রমিক সংগঠনগুলোর।
ধর্মঘটের মধ্যে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। তবে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামমুখী কয়েকটি রুটে যান চলাচল কম থাকায় যাত্রীরা দুর্ভোগ পড়েছেন।
‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ’ নামের যে সংগঠনের ডাকে ধর্মঘট চলছে তার নেতৃত্বে রয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।
মঞ্জু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধসহ নয় দফা দাবিতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১১ জেলায় এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
রোববার ভোরে ধর্মঘট শুরুর পর থেকে চট্টগ্রাম নগরী থেকে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার গণ পরিবহন চলাচল করছে কম। পাশাপাশি পণ্য পরিবহনও কম দেখা গেছে।
তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রামের সভাপতি মো. মুসা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ধর্মঘটে আমাদের সমর্থন নেই। তবে আমরা এর বিরোধিতাও করিনি। কিছু কিছু রুটে মালিকরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।”
এদিকে নগরীতে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক থাকার বিষয়ে মঞ্জু বলেন, “আমাদের মধ্যে একটি অংশের মাধ্যমে প্রশাসন যানবাহন চলাচল করাচ্ছে। যারা পুলিশের সহায়তা নিয়ে যানবাহন পরিচালনা করে তারাই মূলত আজকে বাস চালাচ্ছে।”
তাদের দাবি যেসব সড়কে এ সংগঠনের নেতাদের দাপট রয়েছে সেখানে এবং তাদের মালিকানাধীন যানবাহনগুলো চলাচল করছে না। তবে বাকী সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক।
গত ৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে মঞ্জু এ ধর্মঘটের ডাক দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে পোস্টার লাগানো হলেও কোনো প্রচার দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন বাস চালকরা।