পরিবহন ধর্মঘটে স্বাভাবিক বন্দরনগরী, উত্তর-দক্ষিণে দুর্ভোগ

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতার সংগঠনের ডাকা পরিবহন ধর্মঘটে কিছু সড়কে যান চলাচল ব্যহত হলেও অধিকাংশ এলাকায় এর কোনো প্রভাব পড়েনি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Sept 2019, 08:15 AM
Updated : 8 Sept 2019, 08:48 AM

নয় দফা দাবিতে ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ’ নামের সংগঠন রোববার থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। তবে এ ধর্মঘটে সমর্থন নেই অধিকাংশ পরিবহন মালিক, শ্রমিক সংগঠনগুলোর।

ধর্মঘটের মধ্যে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। তবে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামমুখী কয়েকটি রুটে যান চলাচল কম থাকায় যাত্রীরা দুর্ভোগ পড়েছেন।

‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ’ নামের যে সংগঠনের ডাকে ধর্মঘট চলছে তার নেতৃত্বে রয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।

মঞ্জু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধসহ নয় দফা দাবিতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১১ জেলায় এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। 

দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- কাগজপত্র হালনাগাদে বিআরটিএর কার্যক্রমে ভোগান্তির নিরসন, টোকেন বাণিজ্য বন্ধ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওয়েট স্কেল পরিচালনার দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়া এবং তল্লাশির নামে হয়রানি বন্ধ।

রোববার ভোরে ধর্মঘট শুরুর পর থেকে চট্টগ্রাম নগরী থেকে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার গণ পরিবহন চলাচল করছে কম। পাশাপাশি পণ্য পরিবহনও কম দেখা গেছে।

তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

নগরীর শাহ আমানত সেতু, অক্সিজেন মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় কর্মস্থলমুখী মানুষকে ছোট ছোট বিভিন্ন যানবাহন ও মিনি ট্রাকে করে চলাচল করতে দেখা গেছে।

এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রামের সভাপতি মো. মুসা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ধর্মঘটে আমাদের সমর্থন নেই। তবে আমরা এর বিরোধিতাও করিনি। কিছু কিছু রুটে মালিকরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।”

এদিকে নগরীতে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক থাকার বিষয়ে মঞ্জু বলেন, “আমাদের মধ্যে একটি অংশের মাধ্যমে প্রশাসন যানবাহন চলাচল করাচ্ছে। যারা পুলিশের সহায়তা নিয়ে যানবাহন পরিচালনা করে তারাই মূলত আজকে বাস চালাচ্ছে।”

জানা গেছে, চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাথে সম্পৃক্ত মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু সম্প্রতি ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ’ গড়ে তুলেছেন। মূলত নিজের ক্ষমতা জানান দিতেই তিনি এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বলে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য।

তাদের দাবি যেসব সড়কে এ সংগঠনের নেতাদের দাপট রয়েছে সেখানে এবং তাদের মালিকানাধীন যানবাহনগুলো চলাচল করছে না। তবে বাকী সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক।

গত ৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে মঞ্জু এ ধর্মঘটের ডাক দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে পোস্টার লাগানো হলেও কোনো প্রচার দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন বাস চালকরা।