বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের একটি কনভেনশন সেন্টরে ‘নকল ও ভেজাল আনরেজিস্টার্ড এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ প্রতিরোধে’ জনসচেতনতামূলক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুবুর রহমান বলেন, “নকল, ভেজাল আনরেজিস্টার্ড ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেলে উৎপাদনকারী কোম্পানি ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওষুধে ভেজালে জড়িতদের জেল-জরিমানা করা হবে।
“লোভের আশায় অথবা লাভের আশায় মানুষের ক্ষতি করা যাবে না। ওষুধ বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আর মুদি দোকানের মধ্যে পার্থক্য আছে। ওষুধ কিন্তু মুদি পণ্য নয়। সেজন্য ওষুধ ঠিক তাপমাত্রায় রাখতে হবে।”
পাশপাশি প্রত্যেক ফার্মেসি ও ড্রাগ হাউসে মেয়াদোর্ত্তীণ ওষুধ আলাদা কন্টেইনারে রাখার নির্দেশ দেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, “এই খাতকে গুটি কয়েক অসাধু ব্যবসায়ী ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ধ্বংস করা যাবে না। এ খাতে সাফল্য ধরে রাখতে একযোগে কাজ করতে হবে।”
কিছু ফার্মেসি ভেজাল ওষুধ বিক্রি করছে উল্লেখ করে সভায় বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির (বিসিডিএস) কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদেকুর রহমান বলেন, “এসব ভেজাল ওষুধ এবং ফুড সাপ্লিমেন্ট যারা তৈরি করে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।
“যদি তারা অন্যায় করে আইনের হাত থেকে রক্ষা পায় তাহলে ফার্মেসিগুলোর অসাধুতা বন্ধ করাও কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।”
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এ সভা আয়োজনে সহযোগিতা করে বিসিডিএস।
বিসিডিএস জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্যের সঞ্চালনায় বিসিডিএস সভাপতি সমীর কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের সহ-সভাপতি এম মোসাদ্দেক হোসেন, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের সচিব মুহাম্মদ মাহাবুবুল হক প্রমুখ।