খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলছেন, ওই এলাকার জালালাবাদ পাহাড়ে বুধবার রাত ২টার দিকে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. বেলালের (৪৩) বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মোহনপুরে। চট্টগ্রামে তিনি থাকতেন আমবাগান রেলওয়ে লোকোশেড কলোনিতে। তার বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখল, খুন, ডাকাতি, মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা রয়েছে থানায়।
ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, “বেলাল পুলিশের তালিকাভুক্ত মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী। বুধবার দুপুরে সে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে অপরাধ জগৎ থেকে দূরে থাকার প্রতিজ্ঞা করেছিল।”
এরপর জিজ্ঞাসাবাদে বেলালের কাছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র থাকার তথ্য পেয়ে পুলিশ রাতে তাকে নিয়ে জালালাবাদ পাহাড়ে অভিযানে যায় বলে ওসির ভাষ্য।
তিনি বলেন, “তারা সেখানে পৌঁছালে বেলালকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে একদল সন্ত্রাসী। পুলিশও তখন পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে সেখানে বেলালকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।”
গুলিবিদ্ধ বেলালকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, চার রাউন্ড গুলি ও তিনটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেলাল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত বলে দাবি করতেন। পাহাড়তলীর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরণের অনুসারী হিসেবে তাকে অনেকে চেনে।
রেলওয়ের সরকারি জায়গা দখল, মারামারি ও খুনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে এর আগে তার নাম এসেছে।