পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-শিবির সংঘর্ষের সাড়ে ৪ বছর পর বিচার শুরু

সাড়ে চার বছর আগে চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ঘর্ষের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2019, 04:04 PM
Updated : 25 August 2019, 04:04 PM

রোববার চট্টগ্রামের সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হালীমের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন হয়। বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২২ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছেন।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মনোরঞ্জন দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  “সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২) এবং ১২ ধারায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে ৪৫৩ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।“

এ মামলার আসামিদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. এনামুল হক এবং জামায়াতের সাবেক সাংসদ শাজাহান চৌধুরী রয়েছেন। অভিযোগ গঠনের সময় তাদের অধিকাংশই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের দিনকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে পরের বছর ৫ জানুয়ারি সমাবেশ আয়োজন করে ২০ দলীয় জোট।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও ওই দিন চট্টগ্রামে শর্তসাপেক্ষে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ। 

নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নসিমন ভবন সংলগ্ন সড়কে অস্থায়ী মঞ্চে সমাবেশ চলার সময় বিএনপি-শিবিরের একটি মিছিল  নেভাল অ্যাভিনিউ থেকে ঘুরে কাজীর দেউড়ির দিকে এগিয়ে গেলে ওই মিছিলে থাকা বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা ভাংচুর করে ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়; সংঘর্ষ বাঁধে পুলিশের সঙ্গেও।

সন্ধ্যার দিকে সমাবেশ মঞ্চ হিসেবে ব্যবহৃত দুটি ট্রাকের নিচ থেকে আটটি পেট্রোল বোমা ও একটি হাতবোমা উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ। পরে নসিমন ভবনের সামনের ‘ইয়াসমিন প্যালেস’ ভবন থেকে আসলাম চৌধুরী ও এনামুল হক ২৪০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।

ওই ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।