রোববার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ তথ্য জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ বলেন, “আপনাদের ২৪ ঘণ্টা তথ্য দেওয়ার জন্য আমাদের মুখপাত্র আছে। ঢাকার বাইরেও দুই-তিনটা ব্যুরো অফিস হবে। চট্টগ্রামেও হবে। চট্টগ্রামে ব্যুরো অফিস চালুর প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে।
“আপনাদের তথ্য দেওয়ার জন্য আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত। আমার সাথে আরও ১০ জন কর্মকর্তা আছেন। আপনারা দীর্ঘসূত্রতার কথা বলেছেন, এর কারণ হচ্ছে আমাদের তথ্য অথেনটিক।”
তথ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে নিজেদের সাবধানতার কথা তুলে ধরে আইএসপিআর পরিচালক বলেন, “সংবাদ প্রকাশের পর আপনারা হয়ত সংশোধনী দিতে পারবেন, কিন্তু আমরা বলতে পারব না যে তথ্য ভুল হয়েছে। তাই তথ্য নিশ্চিত করতে একটু সময় দিতে হয়।
“এমন ঘটনাও ঘটেছে দুই বছর আগে দুর্ঘটনায় মহেশখালীতে চারজন পাইলট মারা গেছেন বলে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। পরে দেখা গেল, দুইজনকে পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় যারা পড়েন তাদের পরিবারের সদস্য এবং পিতা-মাতা সংবাদ পেয়ে শকে চলে যায়। এ রকমও হয়েছে।”
মতবিনিময়ে সাংবাদিকরা কোনো ঘটনার ক্ষেত্রে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে তথ্য দিতে দেরি হওয়া এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগে বেগ পাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক মুখপাত্র থাকা, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, প্রকল্প ও স্থাপনার বিষয়ে তথ্য পাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন।
জবাবে আইএসপিআর পরিচালক আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ বলেন, “মিডিয়ার বন্ধুদের সাথে আমরা একসাথে কাজ করি। আমরা সবাই দেশের জন্য কাজ করি। তাই তথ্য প্রকাশের আগে একটু লক্ষ রাখবেন কোন বিষয়টা দিলে সামগ্রিকভাবে ক্ষতি হতে পারে।
তিনি বলেন, “গ্যাপটা আমরা কমাতে চাই। তাই এসেছি। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর নিরাপত্তা বজায় রেখে যতটুকু তথ্য দেওয়া যায় তা দেয়ার জন্য সব সময় চেষ্টা করব। কিছু ক্ষেত্রে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিতে দেরি হয়। যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার চেষ্টা করব।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক মো. নূর ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক সাইদা তাপসী রাবেয়া লোপা, সাংবাদিক সমিতির নেতা সালাউদ্দিন মো. রেজাসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।