বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শতভাগ সফলতার দাবি চট্টগ্রাম সিটির

কোরবানির পশু জবাইয়ের পর বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই নগরীর বর্জ্য অপসারণে সফলতার দাবি করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2019, 04:17 PM
Updated : 12 August 2019, 04:17 PM

সোমবার বিকাল ৫টার মধ্যে নগরীর প্রধান সড়কগুলো এবং রাত ৮টার মধ্যে অলিগলিতে পশুর বর্জ্যমুক্ত করার কথা জানানো হয়েছিল।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এবছর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন শতভাগ সফল হয়েছে।

“বিকাল ৫টার মধ্যেই ৯৫ শতাংশ সড়ক ও ডাস্টবিন পরিষ্কার করা হয়ে গেছে। অলিগলিতে রাত ৮টা সময় বেঁধে দেওয়া হলেও বিকালের মধ্যে অনেক জায়গায় পরিষ্কার হয়ে গেছে।”

নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে চারটি জোনে ভাগ করে চারজন কাউন্সিলরের তত্ত্ববধানে এবছর বর্জ্য অপসারণ কাজ করার ঘোষণা দিয়েছিল সিটি করপোরেশন।

এজন্য সিটি করপোরেশন থেকে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়। রাত ৮টার পরে কোন স্থানে কোরবানির পশুর বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা গেলে ০৩১-৬৩০৭৩৯, ০৩১-৬৩৩৬৪৯, ০১৭১২২৫২৬১৫, ০১৬৭৫২১৮৪৮৫ নম্বরে ফোন করে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

নগরীর খুলশী জাকির হোসেন রোড, আমবাগান, এনায়েত বাজার, জামালখান, লাভলেইন, হালিশহর বড়পুল, আগ্রাবাদ এক্সসেস রোড, মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, চট্টেশ্বরী রোড, পাঠানটুলি, কদমতলী, আগ্রাবাদ হাজী পাড়া, টাইগারপাসসহ এলাকায় ঘুরে দেখা সিটি করপোরেশনের কর্মীদের রাস্তা, ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে দেখা গেছে।

শৈবাল জানান, এবছর বর্জ্য অপসারণ কাজে সিটি করপোরেশন চার হাজার সেবক নিয়োগ করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ২৭৩টি গাড়ি রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, “বিভিন্ন অলিগলিতে যেখানে আবর্জনাবাহী বড় গাড়িগুলো প্রবেশ করতে পারে না সেখানে ডাস্টবিন, সড়ক পরিস্কার করে ছোট ছোট ভ্যানগাড়ি, টমটম দিয়ে এনে বর্জ্যগুলো একটি স্থানে জমা করে রাখা হচ্ছে। যাতে বড় গাড়ি গিয়ে বর্জ্যগুলো নিয়ে যায়।”

এদিকে বিকালে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য অপসারণ কাজ পরিদর্শনের বের হয়েছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

বর্জ্য অপসারণ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, এবার যেহতু ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে সেজন্য বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে আলাদা সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। পরিষ্কাররের পর কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।