বৃহস্পতিবার সকালে মশা নিধনে দিনব্যাপী ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ উদ্বোধন করার সময় মেয়র এ মন্তব্য করেন।
অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গনে ফগার দিয়ে ওষুধ ছিটিয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত সমাবেশে মেয়র নাছির বলেন, “সিটি করপোরেশনের এই কর্মসূচির পাশাপাশি আমরা সবাই সামাজিক দায়িত্ব পালন করলে এডিস মশামুক্ত শহর গড়ে তোলা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
“২০০০ সালে কলিকাতা শহরে ডেঙ্গু রোগ মহামারি আকার ধারণ করেছিল। সেইদিন তারা ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। সেই কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে আজ অর্থাৎ ১৯ বছর পর। বর্তমানে কলিকাতা শহরে কোনো ডেঙ্গু রোগী নেই বললে চলে।”
“এই পরিচ্ছন্ন কর্মসূচির সফলতা নির্ভর করবে নগরবাসীর সদিচ্ছা, সৎ মানসিকতা ও দায়িত্ববোধের উপর। নিজেই সচেতন হবেন, অন্যদেরকেও সচেতন করবেন।”
মেয়র বলেন, যেদিন থেকে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তখন থেকে সিসিসি এইডিস মশার প্রজনন স্থান ধ্বংসের জন্য ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি নগরবাসীকে সচেতন করার নানান কর্মসূচি গ্রহণ করে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান সবপ্রথম বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা শুরু করে।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, “ডেঙ্গু একটি বাস্তবতা। আগে ছিল, এখনও আছে। তবে শঙ্কা নয়, চাই সচেতনতা। সমস্যার মূলে আঘাত করতে হবে।
“আপনার টেবিলের নিচে, বাড়িতে, ছাদে এইডিস মশা আছে। এই এইডিস প্রজননস্থল নির্মূল করতে হবে। এক্ষেত্রে ১ হাজার মানুষের জ্বর হলে ২ জনের ডেঙ্গু রোগ হতে পারে। ভরা পেটে প্যারাসিটামল, বেশি করে পানি, ফলের জুস খাবেন। তরল খাবার খাবেন। বিশ্রাম নেবেন।”
সিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. তৈয়ব আলী।