গণমাধ্যমে ‘অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে নবম ওয়েজ রোয়েদাদ ঘোষণার দাবিতে’ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা আসে।
সমাবেশ থেকে নবম ওয়েজবোর্ড ও সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে নোয়াবের ‘ষড়যন্ত্রে’ লিপ্ত থাকা অভিযোগ তুলে নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণাও দেন সাংবাদিকরা।
সিইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈনুদ্দীন দুলাল বলেন, “সাংবাদিকরা অতীতে আন্দোলন করে তাদের অধিকার আদায় করে নিয়েছেন। নোয়াব সাংবাদিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন।
“আশা করি আদালত সাংবাদিকদের অধিকারের বিষয়ে আন্তরিক থাকবেন। সেই প্রত্যাশা সারা দেশের সাংবাদিক সমাজের আদালতের উপর রয়েছে।”
নোয়াব সভাপতি হিসেবে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের করা এক রিট আবেদনে মঙ্গলবার নবম ওয়েজবোর্ডের গেজেট প্রকাশের উপর দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারি করে হাই কোর্ট।
সিইউজের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস বলেন, “নবম ওয়েজবোর্ড ও সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে নিউজপেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) সভাপতি সম্পাদক মতিউর রহমান ষড়যন্ত্র লিপ্ত রয়েছেন।
“সাংবাদিকদের অধিকার বঞ্চিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকায় তাকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।”
বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার বলেন, “নোয়াব সভাপতি মতিউর রহমান এক-এগারোর সময় দেশ ও আওয়ামী নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। এখনও ষড়যন্ত্র করছেন।”
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, “সাংবাদিকদের অধিকার বঞ্চিত করে একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠন করা সম্ভব নয়। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সবসময় চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রামে এক হয়ে কাজ করবে।”
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, সিইউজের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ, সিইউজের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহমেদ কুতুব, সিইউজের সদস্য প্রীতম দাশ প্রমুখ।