সোমবার ফৌজদারহাটে বিআইটিআইডি ভবনে আয়োজিত ‘ন্যাশনাল গাইডলাইন ফর ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট অব ডেঙ্গি সিনড্রম’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেমিনারে উপাচার্য ড. মো. ইসমাইল খান বলেন, চিকিৎসা খাতের প্রতিটি সেক্টরের কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় থাকা প্রয়োজন। শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞদের তৎপরতা দিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়।
“নার্স ও হেলথ টেকনিশিয়ানদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একজন নার্স সার্বক্ষণিকভাবে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। তাই তাদের ডেঙ্গুর বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “নির্মিতব্য চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যানে একটি এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রস্তাবনা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে একশ শয্যা বিশিষ্ট একটি ট্রপিকেল ডিজিস ইন্সটিটিউটের প্রস্তাবনা, যা এ অঞ্চলে ডেঙ্গু, ইনফ্লুয়েঞ্জা, যক্ষ্মাসহ বিভিন্ন মৌসুমী রোগের গবেষণা ও প্রতিরোধকে সহজতর করবে।”
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে চমেবির উপ রেজিস্ট্রার হাসিনা নাসরীন বলেন, “ডেঙ্গুর রিকভারি ফেইজে সম্পূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় রোগী জ্বর কমে আসার পর দৈনন্দিন কাজে ফেরত যান। এই সময়ে প্রেসার লো হয়ে শক ফেইজে পৌঁছে যায়।”
এক প্রশ্নে হাসিনা নাসরীন বলেন, “জ্বরের প্রথম থেকে চতুর্থ দিন ডেঙ্গু ট্রান্সমিশন হয় মূলত। এসময়টা আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই মশারির নিচে থাকতে হবে। পঞ্চম দিন থেকে এন্টিবডি তৈরি হয়।”
সেমিনারে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইটিআইডির সহকারী পরিচালক হোসেন রশিদ এবং চমেবির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান মো. শাকিল আহমেদ।
রেপোর্টিয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইটিআইডির সহযোগী অধ্যাপক মামুনুর রশিদ।
সেমিনারে ফৌজদারহাট নার্সিং কলেজ ও ইন্সটিটিউট অফ হেলথ টেকনোলজির শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।