রাউজান উপজেলার মদের মহাল এলাকা থেকে রোববার রাতে পালক পিতা মো. নুরুন নবীকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।
পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, “নুরুন্নবী হত্যাকাণ্ডের পর রাউজান উপজেলার মদের মহাল এলাকায় গিয়ে একটি ভবনে কাজ নেন।
“রেলওয়ে পুলিশের অনুরোধে পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের সদস্যরা সেখান থেকে নুরুন্নবীকে গ্রেপ্তার করে।”
নুরুন নবী প্রাথমিক ভাবে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানান সন্তোষ কুমার।
গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় নগরীর চান্দগাঁও খেজুরতলা এলাকায় রেল লাইনের উপর থেকে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
গলা ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে রেল লাইনের উপর ফেলে রাখা ওই কিশোরীর মাথার সাথে আটকে ছিল ছুরি।
পরে মেয়েটির নাম সোমা ধর বলে জানতে পারে পুলিশ। এই ঘটনায় মেয়েটির মা বাদি হয়ে রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ বলেন,“মেয়েটির চার বছর বয়সে তার মা আরতী ধর ধর্মান্তরিত হয়ে সাতাকনিয়া উপজেলার পূর্ব রূপকানীয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজমিস্ত্রী নুরুন নবীকে বিয়ে করে।
“বিয়ের পর সোমা তার মায়ের সাথে থাকলেও বড় হয়ে নগরীতে মাসির কাছে বেশি থাকতেন।”
ছুরিটি হত্যাকাণ্ডের দিন সকালে ৫০ টাকায় সাতকানিয়া কেরানি হাট থেকে কিনেছে বলেও নুরুন নবী পুলিশকে জানায়।
পুলিশের ভাষ্যে, হত্যাকাণ্ডের আগের দিন তার স্ত্রী আরতিকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে সোমাকে ধর্মান্তরিত হওয়ার চাপ প্রয়োগ করে ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন নুরুন্নবী।
“রাতে মেয়েকে জেগে থেকে পাহারা দেয় আরতি। পরদিন ৬ জুলাই আরতি তার মেয়ে সোমাকে নগরীর খেজুরতলায় মাসির বাসায় চলে যাওয়ার পরমর্শ দেন।”
পরিদর্শক সন্তোষ বলেন, “সোমা নগরীতে চলে আসলে নুরুন্নবীও শহরে চলে আসে।
“খেজুরতলা এলাকায় মাসির বাসায় যাওয়ার পথে বিকালে রেললাইনের উপর নুরুন নবী তার পালক মেয়ে সোমাকে গলা, ঘাড়ে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এসময় সোমার মাথার সাথে ছুরিটাও আটকে থাকে।”
উদ্ধারের লাশের পাশে পড়ে থাকা সেন্ডেল দেখে সোমার মা আরতি এ ঘটনার সাথে নুরুন্নবী জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করে।