বাকি যে চারজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তারাও সেরে ওঠার পথে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এর আগে এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে মোট পাঁচ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সব মিলিয়ে জানুয়ারি থেকে সোমবার পর্যন্ত মোট ২১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রামে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় ১৭০ জন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ১ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মোট ১১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, এরআগে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত চমেক হাসপাতালে তিনজন এবং বেসরকারি হাসপাতালে দুজন ডেঙ্গু রোগী এসেছিলেন।
চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চলতি মাসে আমাদের হাসপাতালে পাঁচজন ডেঙ্গু রোগী এসেছেন। তাদের মধ্যে একজন আজ সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন।
“বাকি চারজন মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা প্রাইমারি স্টেজের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এটা মারাত্মক নয়।”
সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, “জেলার ১৫টি উপজেলার ডেঙ্গু পরিস্থিতি তদারকির জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আমরা সচেতন আছি।”
“হাসপাতালোর গুলোর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের বলেছি যেসব ডেঙ্গু রোগী এসেছিলেন তাদের পরিবারের অন্য কোনো সদস্য জ্বরে আক্রান্ত কি না সে বিষয়ে তথ্য নিতে। পাশাপাশি দ্বিতীয় দফায় কেউ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আসলে আমাদের জানাতে।”
এদিকে মশা নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ হাতে নিয়েছে গত সপ্তাহে।