বাংলাদেশ এখন ক্ষুধামুক্ত: হাছান মাহমুদ

বাংলাদেশ এখন ক্ষুধামুক্ত বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে তথ্যমন্ত্রীর ঐচ্ছিক তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান এবং এডিপির অর্থায়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।

বাংলাদেশে এখন ‘বাধ্য হয়ে’ ভিক্ষাবৃত্তি করা লোকের সংখ্যাও অনেকাংশে কমে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত করতে পেরেছি। দারিদ্র্য এখনও আছে তবে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ রচনা করতে পেরেছি।

“যেহেতু দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, বাংলাদেশ এখন খাদ্য রপ্তানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দেশের মানুষকে খাইয়ে খাদ্য উদ্ধৃত্ত থাকছে। সেজন্য আমরা বলতে পারি বাংলাদেশ এখন ক্ষুধামুক্ততা অর্জন করেছে।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “ক্রমান্বয়ে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ২০০৮ সালে যখন সরকার গঠন হয় তখন বাংলাদেশের দারিদ্রের হার ছিল ৪১ শতাংশ। বর্তমানে সেটি কমে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামী নির্বাচনের আগে দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশে নেমে আসবে।

তিনি বলেন, “দেশে যে পরিমাণ ভিক্ষুক আছে তারা এখন আর মানুষের দরজায় গিয়ে বাসি ভাত খোঁজে না। বাসি ভাত খোঁজার ডাক এখন আর বাংলাদেশের কোথাও শোনা যায়না। কারণ ভাতের সমস্যা আমরা সমাধান করতে পেরেছি।”

বন্যাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাদের দুর্গত মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।

“পাঁচ বছর ধরে যারা সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর না রেখে শুধু ভোটের আগে এসে রাজনীতি করেন, তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।”

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান চৌধুরী।

উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পূর্বিতা চাকমা প্রমুখ।