অধ্যাপক ফারুকের পক্ষে চবি ফার্মেসি বিভাগের মানববন্ধন

দুধ নিয়ে গবেষণার জন্য সরকারি এক কর্মকর্তার হুমকির মুখে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্স সেন্টারের সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের পক্ষে অবস্থান জানিয়ে মানববন্ধন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2019, 02:19 PM
Updated : 18 July 2019, 02:19 PM

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘ভেজালমুক্ত খাদ্য চাই, ফারুক স্যারের পাশে দাঁড়াই’ শ্লোগানে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।

অধ্যাপক ফারুক গত ২৫ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানানোর পর শুরু হয় আলোচনা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ওই গবেষণা নিয়েই প্রশ্ন তোলে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন। তাকে পাশে রেখে সংবাদ সম্মেলনে দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, এই গবেষণা দেশের দুগ্ধ শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক।

এরপর অধ্যাপক ফারুকের পক্ষে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির পর এবার চবি'র ফার্মেসি বিভাগ মানববন্ধনে দাঁড়াল।

মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “ফারুক স্যারের 'খাদ্যে ভেজাল' গবেষণায় অনেকেই বিভ্রান্ত ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সেটা করার কোনো উপায় নেই। কারণ, দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য এই গবেষণা।

“খাদ্যে ভেজাল ক্যান্সারের অন্যতম কারণ, দেশে এখন ১৪-১৫ বছর বয়সের ছেলে মেয়েদের ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে এখন প্রতিবাদ না করলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মরা মহাবিপদে পড়বে। রাষ্ট্রীয়ভাবে খাদ্য ভেজাল বিরোধী অবস্থান নিতে হবে।”

একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রমিজ আহমেদ সুলতান বলেন, “ফারুক স্যারের গবেষণাকর্ম গবেষণা জগতে নতুন দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে। জনকল্যাণে উদ্দেশ্যে এসকল গবেষণায় হুমকি প্রদান না করে, উৎসাহ প্রদান করা উচিত।

“দ্বায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের এই ধরনের আচরণ অব্যাহত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকরা গবেষণার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তচিন্তা ও নতুন জ্ঞান সৃজনের ক্ষেত্রটি আরও সঙ্কুচিত হয়ে পড়বে।”