চট্টগ্রামে পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং

টানা বৃষ্টি শুরুর পর চট্টগ্রামের পাহাড়গুলো থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2019, 05:23 PM
Updated : 6 July 2019, 05:29 PM

এসব মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রও তৈরি করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

শনিবার বিকাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রশাসনের চিহ্নিত লালখান বাজার ও মতিঝর্ণা এলাকাসহ বিভিন্ন পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং শুরু হয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কাট্টরী সার্কেলের সহকারী কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পাহাড়ের উপর ও পাদদেশে বসতিকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের চলে যাবার জন্য বলা হয়েছে।

তাদের জন্য নগরীতে আটটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসনের সহকারী কমিশনাররা এবং ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তার সমন্বয়ে এসব আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে।

এসব কেন্দ্রের জন্য পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও পানি মজুত রয়েছে বলে জানান তৌহিদুল।

নগরীর পাহাড়তলি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফিরোজ শাহ ই ব্লক স্কুল, চট্টগ্রাম মডেল হাই স্কুল, জালালাবাদ বাজার সংলগ্ন শেড, আল হেরা ইসলামিয়া মাদ্রাসা, রৌফাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সৈয়দাবাদ স্কুলে সংশ্লিষ্ট এলাকার পাহাড়ে বসবাসকারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্ধারন করা হয়েছে।

তৌহিদুল ইসলাম জানান, মাইকিংয়ের পর অনেকেই আশ্যয়কেন্দ্রে গেছে অথবা নিরাপদ এলাকায় তাদের আত্মীয়দের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে।

বর্ষা আসলেই নগরীর পাহাড়গুলো থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিকারীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

এবারে বর্ষা শুরুর আগে থেকেই প্রশাসন নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদে জোরালো কর্মসূচি হাতে নেয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরীর ১৭টি পাহাড়ে ৮৩৫ ঝুঁকিপূর্ণ বসতি চিহ্নিত করে উচ্ছেদের ঘোষণা দেয়া হয়।

এসব পাহাড়ের অধিকাংশের মালিক সরকারি বিভিন্ন সংস্থা।

টানা বর্ষণ শুরুর আগ পর্যন্ত চারশর মতো বসতি উচ্ছেদ এবং সেখানকার গ্যাস-পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।