শুক্রবার রাতে আনোয়ারা উপজেলার চাতরি চৌমুহনী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দু’জন হলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মামুন (২০) এবং হেলাল উদ্দিন (৩০)। এদের মধ্যে মামুন আনোয়ারা উপজেলার এবং হেলাল উদ্দিন পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
আনোয়ারা থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাতে অভিযান চালিয়ে মামুন এবং হেলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“তাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তারা দেখিয়ে দিয়েছে কোথায় নিয়ে তারা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।”
ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, স্থানীয় চায়না রোডের শেষ প্রান্তে সড়কের পাশে একটি জমিতে ফেলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়।
“সেদিন ওই তরুণী অসুস্থ ছিলেন। তিনি কান্নাকাটি করেও তাদের কাছ থেকে রেহাই পাননি।”
গ্রেপ্তার দু’জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দুলাল মাহমুদ বলেন, চাতরি চৌমুহনী এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই তারা অটোরিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। যে কোনো মেয়েকে একা পেলেই তুলে নিয়ে ধর্ষণের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
এদিকে ধর্ষণের শিকার তরুণী চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ওই তরুণীর স্বজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডাক্তার জানিয়েছেন তাকে আরও রক্ত দিতে হবে। এখন কথা বলতে পারছে। আমরা রক্ত যোগাড়ের চেষ্টা করছি।”
বুধবার রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে ওই তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়।
নির্যাতিত তরুণী কোরিয়ান ইপিজেডের একটি কারখানায় কাজ করেন। চন্দনাইশের বাড়ি থেকেই তিনি প্রতিদিন কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করেন।
ওই রাতে ফ্যাক্টরি থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরতে আনোয়ারা চাতরি চৌমুহনী এলাকায় এসে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন তিনি।
ওই অটোরিকশার চালক এবং যাত্রীবেশী তিনজন তাকে স্থানীয় কালার বিবির দিঘী সংলগ্ন চায়না রোডে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে আবার চাতরি চৌমুহনী এলাকায় এনে সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় তরুণী ভাই বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আনোয়ারা থানায় অজ্ঞাতনামা চার জনকে আসামি করে মামলা করেন।