চট্টগ্রামের নোয়া খালের ৩৫০ মিটার জায়গা দখলমুক্ত

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল দখলমুক্ত করার অভিযানের দ্বিতীয় দিনে নোয়া খাল থেকে ১৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2019, 01:45 PM
Updated : 3 July 2019, 01:55 PM

বুধবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) পরিচালিত এ অভিযানে প্রায় ৩৫০ মিটার জমি দখলমুক্ত হয়।

তবে খালের পাড়ে ও খালের ভেতর স্থাপনা নির্মাণ করায় বুধবারের অভিযানে এসক্যাভেটর ব্যবহার করতে বেগ পেতে হয়।

বুধবার বেলা ১২টার দিকে নোয়া খালের সিঅ্যান্ডবি বালুর টাল অংশ থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়ে চলে বিকাল তিনটা পর্যন্ত।

অভিযানের বিষয়ে সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমদ মঈনুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মোট ১৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৩৫০ মিটার জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

“নোয়া খালে মোট ৮৬টি অবৈধ স্থাপনা আছে। সবগুলো উচ্ছেদে আরও তিনদিন সময় লাগতে পারে। সব স্থাপনা উচ্ছেদ হলে প্রায় দুই কিলোমিটার জমি উদ্ধার হবে।”

বুধবার উচ্ছেদ করা স্থাপনার মধ্যে একটি দুইতলা, একটি একতলা, চারটি আধাপাকা এবং ১২টি টিনশেড ঘর রয়েছে।

নগরীর চান্দগাঁও এলাকার নোয়া খালের দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ দশমিক আট কিলোমিটার। খালটি স্থানভেদে ৬০ থেকে ৯০ ফুট প্রশস্ত।

এই খালের ভেতর ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৬ ফুট পর্যন্ত অংশ দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

অভিযানের সময় খাল ঘেঁষে এসব স্থাপনা সরাতে কয়েকটি স্থানে এসক্যাভেটর নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।

আহমদ মঈনুদ্দিন বলেন, এমনভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে এসক্যাভেটর যাচ্ছিল না। পরে শুধু শ্রমিকদের হাতুড়ি ব্যবহার করে এসব স্থাপনা ভাঙতে হয়েছে।

“একটি স্থাপনা ছিল খালের প্রায় ২৬ ফুট ভেতরে। পাঁচতলা ভবন নির্মাণের জন্য ভিত্তি প্রস্তুত করা হয়েছিল। ভবনটির মালিক পালিয়ে গেছে। আমরা ভিত্তিসহ পুরো কাঠামো ভেঙ্গে দিয়েছি।”  

নোয়া খালের ভেতরে থাকা এ ধরনের স্থাপনা অপসারণে বৃহস্পতিবার থেকে ভাসমান এসক্যাভেটর ব্যবহার করা হবে বলেও জানান তিনি।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিডিএর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী। সহায়তা করেন সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের সদস্যরা।

‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন:খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার রাজাখালী খালে উচ্ছেদ অভিযানের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়।

মঙ্গলবার রাজাখালী খালের কল্পলোক আবাসিক এলাকা সংলগ্ন অংশ থেকে ২৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা দখলমুক্ত করা হয়।

এই প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৩৬টি খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) প্রথম পর্যায়ে ১৩টি প্রধান খালের জরিপ করে।

এতে ১৩টি খালের ১২৩ একর জায়গা অবৈধ দখলে আছে বলে চিহ্নিত করা হয়। খালগুলোতে ছোট-বড় ও পাকা, আধাপাকা, কাঁচা ঘরসহ অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা মোট ১৫৭৬টি।