আবাসন সঙ্কটে ভোগান্তিতে চবি ফরেস্ট্রির ছাত্রীরা

ছাত্রদের ১৭৬টির বিপরীতে আসন মোটে ৩৯টি। তারপর সীমিত এই আসনে থাকতে হচ্ছে ৬৫ জন ছাত্রীকে। বাকিদের আবাসনের জন্য জায়গা খুঁজতে হয় ক্যাম্পাসের আশপাশের কটেজ, মেসে।

আজহারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2019, 09:03 AM
Updated : 3 July 2019, 10:33 AM

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস এর ছাত্রীদের এই ভোগান্তি অনেকদিনের। এখানে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ছাত্রীদের শুরু হয় আবাসনের চিন্তা। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তাদের লেখাপড়ায়।

এই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র মাস্টারদা সূর্য সেন হলেই আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়।

হলটির দুইটি ভবনে (ছাত্র ও ছাত্রী ব্লক) মোট আসন ২১৫টি। এর মধ্যে চারতলা ছাত্র ব্লকে ১৭৬টি এবং দুইতলা ছাত্রী ব্লকে মাত্র ৩৯টি আসন রয়েছে।

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২০ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ২৯৫জন। ছাত্রদের মধ্যে ১৭৬ জন হলে আসন বরাদ্দ পেয়েছেন। তবে ২২৫ জন ছাত্রীর জন্য বরাদ্দ ৩৯টি আসনে থাকছেন ৬৫ জন।

হলের ছাত্রী ব্লকে আসন মোটে ৩৯টি। তাতেই গাদাগাদি করে থাকছেন দ্বিগুণ শিক্ষার্থী। বাকিরা মেসে জায়গা খুঁজে নেন

বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বষের এক ছাত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনার্স শেষ করেও যে হলে সিট পাব এমন কোনো সম্ভবনা নেই। সিট না থাকায় সারাদিন ল্যাব করে রাতে শহরের মেসে ফিরে আর পড়া যায় না । সেখানে থাকা খাওয়ার অসুবিধা তো আছেই।

“মে মাসে নবনির্মিত শেখ হাসিনা হলে আসন বরাদ্দের নোটিস দেখে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কিছুদিন আগে হল কর্তৃপক্ষ আমাদের ইনস্টিটিউটের ছাত্রীদের টাকা ও আবেদন দুটোই ফেরত দেয়।”

আবাসন সঙ্কটের কথা স্বীকার করেছেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. দানেশ মিয়া নিজেও।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ছাত্রীদের আবাসন সংকটের সমাধান প্রয়োজন। ছাত্রী ব্লকের দু্ইতলা ভবনটি চারতলা করলে এ সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে।”

আর মাস্টারদা সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ খালেদ মিসবাহুজ্জামান জানিয়েছেন, উপাচার্যের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য শিরীণ আখতারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিভিন্ন পর্ষদে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই আবাসন সঙ্কটের সমাধান করা হবে।