মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর কোতোয়ালী খানার মহল মার্কেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. মঈন উদ্দিন ওরফে হানিফ (৩৮), মো. ইউসুফ খান (৩৯), মোর্শেদ আকবর (৪২), আব্দুল করিম ওরফে মারুফ (২০)।
তারা সবাই লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। হানিফ মাসুমের অন্যতম সহযোগী ও ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফেঅর ডটকমকে বলেন, “দুপুরে মহল মার্কেটের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা গত শনিবার লালখান বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার সাথে জড়িত বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।”
গত শনিবার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে লালখান বাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম এবং যুবলীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলালের অনুসারী দুই পক্ষ।
৯০’র দশকে চট্টগ্রামের সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী ছিলেন তৎকালীন কলেজ ছাত্রসংসদের এজিএস আবুল হাসনাত বেলাল। বছর কয়েক আগে বেলাল লালখান বাজার এলাকায় আলাদা বলয় গড়ে তোলেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে লালখান বাজার এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা সাবেক ‘গুরু-শিষ্য’র অনুসারীদের মধ্যে।
মাসুমের হয়ে লালখান বাজার এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মারামারির নেতৃত্বে সবসময় উঠে আসে হানিফের নাম। ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যায় জড়িতরাও ছিলেন মাসুমের অনুসারী। সুদীপ্তর পক্ষের লোকজন হত্যাকাণ্ডের পর থেকে অন্যতম আসামি আইনুল কাদের নিপুর পাশাপাশি হানিফের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করে আসছেন।