পুলিশ বসে নেই: বরগুনার ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বরগুনায় প্রকাশ্যে সড়কে স্ত্রীর সামনে যুবককে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের সব আসামিকে অচিরেই গ্রেপ্তারের আশা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2019, 11:37 AM
Updated : 27 June 2019, 11:38 AM

এই ঘটনাকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির নজির হিসেবে দেখতে নারাজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছেন।

বুধবার বরগুনা শহরে সড়কে কয়েক যুবক প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আরেক যুবককে। হামলার শিকার যুবকের স্ত্রী চেষ্টা করেও স্বামীর মৃত্যু ঠেকাতে পারেননি।

এই ঘটনা ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘটনা শুনে হাই কোর্ট আসামিদের পালানো ঠেকাতে বলেছে। 

বরগুনা পুলিশ হত্যাকাণ্ডের এক আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানালেও চট্টগ্রামে পুলিশের এক অনুষ্ঠানে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুজনকে আটকের খবর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ওই অনুষ্ঠানেই সাংবাদিকরা বরগুনার আলোচিত ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করেন মন্ত্রীকে।

তিনি বলেন, “(হত্যাকাণ্ডটি) কেন ঘটেছে সেটা তদন্ত করেই আপনাদের ডিটেইল জানাতে পারব।

“আমার কাছে এই মুহূর্তের খবর হল, দুজনকে আমাদের পুলিশ ধরে ফেলছেন। এবং বাকি যেই কয়জন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল, তাদের সবাইকে আমরা ধরব। সবাইকে আইনের সামনে আমরা হাজির করে দেব।”

হামলার ২৪ ঘণ্টায়ও মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ; তবে এই বাহিনীর চেষ্টায় কোনো ঘাটতি দেখছেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

“আমাদের পুলিশ কিন্তু বসে নেই। জোর গলায় বলতে পারি, যত ঘটনাই ঘটুক.. দক্ষতা-সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়া পুলিশ আমাদের নয় এখন। আপনি যদি ১০ বছর আগের পুলিশ আর এই পুলিশ চিন্তা করেন, তাহলে ভুল করবেন। আমাদের পুলিশ অনেক সক্ষম, অনেক দক্ষ এবং অনেক ইনফরমেটিভ।

“এই যে নুসরাতের হত্যাকাণ্ডটা। এটা কি আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরে ফেলছে না? পিবিআই তদন্ত করে আসল যারা ক্রিমিনাল তাদের ধরে আইনের সম্মুখে দিয়েছে না। আগের পুলিশ আর এই পুলিশ এক নয়। এরা অন্তত সক্ষম, দক্ষ এবং যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে।”

বরগুনার ঘটনাটি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির নজির কি না- প্রশ্নে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, “আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে কেন? আমাদের পুলিশরা তো সঙ্গে সঙ্গেই কাজ করছেন। এই ধরনের দুয়েকটি ঘটনা তো...।”

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, পুলিশের আইজি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাংসদ ওয়াসিকা আয়েশা খান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, পুনাক সভাপতি হাবিবা জাবেদ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল আলম নিজামী এবং বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ নেটওয়ার্কের সভাপতি আমেনা বেগম।

অনুষ্ঠানে ১০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ প্রদান করা হয়।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- অতিরিক্ত আইজিপি রৌশন আরা বেগম (মরণোত্তর), এআইজি তাপতুন নাসরীন, অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রাণী সাহা, পুলিশ সুপার মাহফুজা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহ্‌ফুজা লিজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহমিদা হক শেলী, পরিদর্শক মোহাম্মদ মহসীন, এসআই জান্নাতুল ফেরদৌস ও বেতার কনস্টেবল নুসরাত জাহান।