বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাসের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আহত সুভাষকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
সবুজের উপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনকে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে কলেজ ছাত্রলীগ।
চকবাজার থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে কয়েজনকে নিয়ে বসে ছিলেন সুভাষ। এসময় মো. বেলাল নামে একজনের নেতৃত্বে তার উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ পেয়েছি।
“হামলাকারী তাকে মারধর করেছে। এ ঘটনার পর সুভাষের অনুসারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে মিছিল করে। এসময় জয় নগর ও চকবাজার এলাকায় তিন-চারটি দোকান ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে।”
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “বহিরাগত সন্ত্রাসী মো. বেলালের নেতৃত্ব সুভাষ মল্লিক সবুজকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়।
“সুভাষের মাথায় ও পিঠে জখম হয়েছে। আমরা আজ রাতেই মামলা করব। এ ঘটনায় তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।"
মাহমুদুল করিমের দাবি, জামায়াত নেতা মুমিনুল হক চৌধুরীর জানাজায় অংশ নেওয়ার নামে ইসলামী ছাত্র শিবিরকে কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়ার কারণেই সুভাষের উপর হামলা হয়েছে।
মুমিনুল হক চৌধুরী সাতকানিয়া আসনের আওয়ামী লীগ সাংসদ আবু রেজা নেজামুদ্দিন নদভীর শ্বশুর।
মাহমুদুল করিম বলেন, “হামলাকারীদের মধ্যে কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীও ছিল। মূলত ছাত্র শিবির এবং ছদ্মবেশী স্থানীয় সন্ত্রাসীরা একযোগে এ হামলা চালিয়েছে।”
হামলায় নেতৃত্বদানকারী মো. বেলাল সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং সিআরবি জোড়া খুনের আসামি সাইফুল ইসলাম লিমনের অনুসারী বলে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন।
সাইফুল ইসলাম লিমন নগরীর রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বর্তমান সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের সাথে আ জ ম নাছিরের অনুসারী পক্ষের বিরোধ আছে।
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ইসলামী ছাত্র শিবিরের নিয়ন্ত্রণে থাকা চট্টগ্রাম কলেজ গত কয়েক বছর ধরে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে আছে।