নৌকায় যাত্রী বেশি হলে ডুবে যাবে: হাছান মাহমুদ

‘অনুপ্রবেশকারীদের’ বিষয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2019, 02:19 PM
Updated : 23 June 2019, 02:19 PM

তিনি বলেছেন, “এখন সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়। নৌকায় বেশি যাত্রী হলে নৌকা ডুবে যায়। সবাইকে নৌকায় তোলার প্রয়োজন নাই।”

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রোববার চট্টগ্রামে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক সুধী সমাবেশে একথা বলেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, “পরপর তিন বার আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায়, সেকারণে যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে, তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। এ সুযোগসন্ধানী, সুবিধাবাধীদের আমাদের দলে প্রয়োজন নেই।” 

আওয়ামী লীগের নেত-কর্মীদের বিনয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কারও আচরণে কোনো মানুষ যেন বিরক্ত না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সভাপতিত্ব করেন মহানগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। 

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

আওয়ামী লীগের পথচলার ইতিহাস তুলে ধরে বর্ষীয়ান নেতা মোশাররফ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা এ দেশে ফিরে আসার পর আওয়ামী লীগ পুনর্জ্জীবিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেওয়াকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জাতির জনককে হত্যা করার পর আমরা দিশাহীন হয়ে যাই। মহিউদ্দিন চৌধুরী, আমি যখন তরুণ… আমরা যখন নেতৃত্বে ছিলাম, তখন আমরা দিশাহীন হয়ে পড়ি।  

“বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে আসার পর অনেকে বলেছিল, মাত্র ৩৮ বছরের মেয়ে, তার দ্বারা কী হবে? তার সাথে ঘুরে আমি দেখিছে কত কষ্ট করেছেন উনি। মাত্র ১৫ বছরের মধ্যে সংগ্রাম-আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে।”

শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ বলেন, “আমরা এমন একটি পর্যায়ে এসেছি, আজকে ১৬ কোটি মানুষ একটা লোকও না খেয়ে মরে না। সবার পকেটে টাকা আছে। বাংলাদেশে কোনো অভাব নেই।

“অভাব শুধু খাঁটি মানুষের। যারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আছে, তাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অবিচল আস্থা রাখতে হবে। উনি যেভাবে নির্দেশ দেবেন সেভাবে আমরা কাজ করে যাব।”

শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল দলের নতুন প্রজন্মের নেতাকর্মীদের ইতিহাস সচেতনতা বাড়ানোর উপর জোর দেন। দলের ইশতেহার জনগণের কাছে তুলে ধরার আহ্বানও জানান তিনি।