বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মশিউর রহমান খান এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- ওই ছাত্রীর গৃহশিক্ষক জয়নাল আবেদিন ও ছাত্রীর চাচাত ভাই মো. দাউদ। তারা দুজনই পলাতক।
এদের মধ্যে জয়নাল আবেদিনকে যাবজ্জীবন এবং দাউদকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেসমিনা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারা অনুসারে আসামি জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি জয়নালকে ৩০ হাজার টাকা এবং দাউদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৪ জুন দুপুরে নগরীর পাথরঘাটা এলাকার একটি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হন ওই স্কুলছাত্রী।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই মেয়ের বাবা কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন।
ওই ছাত্রীকে নোয়াখালী, ফেনী ও দিনাজপুরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় এক মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন জয়নাল। ২০০৭ সালের ১০ জুলাই দিনাজপুর থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া ছাত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
ওই বছরের ২৮ অগাস্ট পুলিশ অভিযোগপত্র দিলে ১৫ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিনে গিয়ে পলাতক হন দুই আসামি।
মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।