চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বুধবার ‘উগ্রবাদ বিরোধী ছাত্র সংলাপ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার এ আহ্বান আসে
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আমেনা বেগম বলেন, বয়ঃসন্ধির সময়, অর্থাৎ ১৩ থেকে ১৯ বছর এমন একটা বয়স যখন সবকিছু পরিবর্তন করার একটা চিন্তা থাকে।
“এ সময় মনে হয় যে আমি পৃথিবীটাকে পরিবর্তন করে ফেলব। অনেক সময় মনে হয়, আমাকে যে যুদ্ধে আহ্বান করছে- যে শর্টকাট, এটার মাধ্যমে হয়ত পরিবর্তন করতে পারব। বাট দ্যাট ইজ নট দ্যা কারেক্ট ওয়ে।... এটা যে ভুল পথ সেটা বোঝার মত বয়স ওই ছেলেটি বা মেয়েটির হয়নি।”
“এটা তোমাদের মাথায় রাখতে হবে- ইট ইজ নট দ্যা রাইট ওয়ে টু চেইঞ্জ দ্য সোসাইটি। সোসাইটিকে চেইঞ্জ করতে হলে আরও অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। শর্টকাট দিয়ে সোসাইটি পরিবর্তন করা যায় না।”
অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় উচ্চবিত্তের পরিবারের সন্তানরা যেমন ছিল, নিম্নবিত্তের পরিবারের সন্তানও ছিল। তারা কেন এসবে জড়াল, এর প্রেক্ষাপট কী- সেসব বিষয়ও দেখতে হবে।
শিক্ষার্থীরা যেন ‘ভুল পথে’ না যায়, সেজন্য শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যদেরও সচেতন থাকার আহ্বান জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
“আপনাদের নজর রাখতে হবে। একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে দেখে ধারণা করতে পারেন যে তার মনের মধ্যে অন্য কিছু চলছে। বাবা-মারও উচিত তার সন্তান কোথায় যায়, কী করে, কার সাথে মেশে, তার চিন্তা ভাবনা কী...।”
বাংলাদেশ এখন জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বে ‘রোল মডেল’ দাবি করে তিনি বলেন, “জঙ্গিবাদ নিরসনে আমাদের পুলিশ যে ভূমিকা রেখেছে তা সারা বিশ্ব এখন জানতে চায়।”
‘বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের’ আওতায় দিনব্যাপী এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ কমিশনার আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আবদুর রউফ উপস্থিত ছিলেন।