পাঁচলাইশ পাসপোর্ট কার্যালয়ে দালালদের দৌরাত্ম দেখল দুদক দল

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে দালালদের উপস্থিতি ও দৌরাত্মের ‘প্রাথমিক প্রমাণ’ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2019, 09:20 AM
Updated : 18 June 2019, 09:20 AM

এ বিষয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়ে তদন্তসহ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনায় কমিশনের কাছে অনুমোদন চাওয়া হবে।

মঙ্গলবার সকালে পাঁচলাইশের আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে ছ্দ্মবেশে অভিযানে যায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর তিন সদস্যের একটি দল; নেতৃত্বে ছিলেন সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদ।

প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে দালালদের দৌরাত্ম এবং গ্রাহক ভোগান্তির বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন দুদক কর্মকর্তারা।

এসময় পাসপোর্ট ফরম পূরণ ও জমা দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে দালালদের টাকা আদায়, দালালদের দেওয়া সাংকেতিক চিহ্ন ছাড়া ফরম জমা নিতে গ্রাহকদের হয়রানি এবং ঝামেলা এড়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ফরম সংগ্রহ, পূরণ ও জমা দিতে টাকা গ্রহণের ঘটনা দেখতে পান দুদক কর্মকর্তারা।

দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ পাওয়া যায় দালালদের দৌরাত্মের কারণে পাসপোর্ট করতে ভোগান্তি হচ্ছে।

“ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ ছদ্মবেশে অভিযান চালানো হয়। এসময় সেখানে দালালদের উপস্থিতি এবং পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন অংশে তাদের দৌরাত্মের প্রমাণ মিলেছে।”

লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, এ বিষয়ে যে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে সেগুলো দিয়ে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে।

পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক আল আমীন মৃধা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুদকের একজন সহকারী পরিচালেকের নেতৃত্বে একটি দল এসেছিল।

“তাদের সবকিছু ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। বিভিন্ন সময় পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তির অভিযোগ গ্রাহকদের ছিল। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় পাসপোর্ট ডেলিভারি দিতে সমস্যা হয়। এখন প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে।”

তবে কার্যালয়ে দালালদের উপস্থিতি ও দৌরাত্মের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

গত কয়েক মাস ধরে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্মের অভিযোগ করে আসছেন সাধারণ গ্রাহকদের।