শনিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। দেড়টার দিকে তা রূপ নেয় ভারি বর্ষণে। নগরীর বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত তলিয়ে যায়।
বর্ষা মৌসুম শুরুর দিনের বৃষ্টিতে টানা কয়েকদিনের গরম থেকে নগরবাসী একটু স্বস্তি পেলেও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ তা কেড়ে নেয়। শুধু সড়কে নয়, অলিগলি উপচে বাসা বাড়ি ও দোকানপাটেও ঢুকে পড়ে পানি। চট্টগ্রামের আখতারুজ্জামান ফ্লাইভারও পানিতে থৈ থৈ করতে দেখা যায়।
শুধু পতেঙ্গা এলাকার হিসেবে চট্টগ্রামে দুপুর দেড়টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর চকবাজার, প্রবর্তক মোড়, জিইসি মোড়, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, মুরাদপুর মোড়, আগ্রাবাদ, হালিশহর, খুলশী ওর্য়াল্যাস মোড়, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, ষোলশহর আল ফালাহ গলিসহ বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে।
এছাড়া মুরাদপুর এলাকাতেও হাঁটু পরিমাণ পানি দীর্ঘক্ষণ জমতে দেখেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ওইসব এলাকা বিভিন্ন সময়ে সংস্কার করা হলেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মেলেনি। বর্ষার প্রথম দিনের বৃষ্টিতে এই দশা হলে মৌসুমের কি হাল হবে কে জানে।”
নগরীর প্রবর্তক মোড় ও আল ফালাহ গলি এলাকায় কোমর পানিতে তলিয়ে যেতে দেখা গেছে।
গত ২০ মেও নগরীতে কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে জলমন্ন হয়ে নগরবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছিল।