আষাঢ়ের শুরুর বর্ষণে থৈ থৈ চট্টগ্রাম

আষাঢ়ের প্রথম দিনের বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর নিচু এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2019, 01:27 PM
Updated : 15 June 2019, 03:06 PM

শনিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। দেড়টার দিকে তা রূপ নেয় ভারি বর্ষণে। নগরীর বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত তলিয়ে যায়।

বর্ষা মৌসুম শুরুর দিনের বৃষ্টিতে টানা কয়েকদিনের গরম থেকে নগরবাসী একটু স্বস্তি পেলেও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ তা কেড়ে নেয়। শুধু সড়কে নয়, অলিগলি উপচে বাসা বাড়ি ও দোকানপাটেও ঢুকে পড়ে পানি। চট্টগ্রামের আখতারুজ্জামান ফ্লাইভারও পানিতে থৈ থৈ করতে দেখা যায়।  

অল্প বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ছবি: সুমন বাবু

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা জানান, শনিবার দুপুর বেলা টানা প্রায় ৪০ মিনিট ভারি বর্ষণ হয়। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৬৭ কিলোমিটার বেগে।

শুধু পতেঙ্গা এলাকার হিসেবে চট্টগ্রামে দুপুর দেড়টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর চকবাজার, প্রবর্তক মোড়, জিইসি মোড়, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, মুরাদপুর মোড়, আগ্রাবাদ, হালিশহর, খুলশী ওর্য়াল্যাস মোড়, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, ষোলশহর আল ফালাহ গলিসহ বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে।

আষাঢ়ের প্রথম দিনের বৃষ্টিতে শনিবার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল; ফ্লাইওভারও রেহাই পায়নি। ছবি: সুমন বাবু

ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় থাকা সাংবাদিক প্রীতম দাশ জানান, সড়কের দুই পাশে পানি জমে গিয়ে যানবাহন চলাচল একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের মাঝখানে সিএনজি অটোরিকশাসহ ব্যক্তিগত গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়।

এছাড়া মুরাদপুর এলাকাতেও হাঁটু পরিমাণ পানি দীর্ঘক্ষণ জমতে দেখেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ওইসব এলাকা বিভিন্ন সময়ে সংস্কার করা হলেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মেলেনি। বর্ষার প্রথম দিনের বৃষ্টিতে এই দশা হলে মৌসুমের কি হাল হবে কে জানে।”

নগরীর প্রবর্তক মোড় ও আল ফালাহ গলি এলাকায় কোমর পানিতে তলিয়ে যেতে দেখা গেছে।

জলাবদ্ধ চট্টগ্রামের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার। ছবি: সুমন বাবু

আল ফালাহ গলি এলাকার বাসিন্দা সেরাজুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিবছল সিটি করপোরেশন, সিডিএসহ বিভিন্ন সংস্থা নানা উন্নয়ন কাজ করলেও জলাবদ্ধতার ক্ষেত্রে কোনো লাভ হয়নি। আল ফালাহ গলি এলাকায় কোমর পানিতে আটকে ছিলাম। দিনে কোনো কাজ করাই যায়নি।”

গত ২০ মেও নগরীতে কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে জলমন্ন হয়ে নগরবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছিল।