মুছা-কালুতে আটকে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যার তদন্ত

এসপিপত্নী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডের তিন বছরেও পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র দিতে না পারায় শুরু হয়নি বিচার। 

উত্তম সেন গুপ্ত চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2019, 04:42 AM
Updated : 5 June 2019, 10:45 AM

দুই বছর আগের মতো হত্যাকাণ্ডের তৃতীয় বার্ষিকীতেও পুলিশ বলছে, তদন্ত চলছে, অভিযোগপত্র হয়ে যাবে শিগগিরই।

তবে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীর খোঁজ এখনও মেলেনি বলে তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্য।

তিনি বলছেন, এই মামলায় গ্রেপ্তার দুজনের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি অংশ নেওয়া মুছা ও কালু নামের দুজনকে ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে পারলে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।

অন্যদিকে মিতুর স্বামী এসপি বাবুল আক্তারকে এখনও দায়ী করে চলছেন তার বাবা মোশারাফ হোসেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন চট্টগ্রামে বিভিন্ন জঙ্গিবিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু।

পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল। তার আগে তিনি চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন বাবুল আক্তার।

বাবুলের জঙ্গিবিরোধী অভিযানের কারণে তার স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে- সে ধারণা নিয়ে তদন্ত শুরু করলেও কিছুদিন যেতেই তা সরে আসে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের ১৯ দিন পর ওই বছরের ২৪ জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরের বাসা থেকে বাবুলকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। তার কিছু দিন পর পুলিশের চাকরিও ছেড়ে দেন তিনি।

তবে কী কারণে মিতুকে হত্যা করা হয়েছে, তা তিন বছর পরও বের করতে পারেনি পুলিশ।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবর রহমান রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সব কিছুর কনক্লুশানে আসতে কিছু কলাকৌশল আছে। তবে শিগগিরই হয়ে যাবে এ মামলার অভিযোগপত্র।”

বাবুলকে জিজ্ঞসাবাদের দুদিন পর ২৬ জুন মো. আনোয়ার ও মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম নামে দুজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় পুলিশ। তারা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলে, মুছার ‘পরিকল্পনাতেই’ এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়।

মো. আনোয়ার ও মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিমের জবানবন্দি আসে মুছার কথা

জবানবন্দিতে ওয়াসিম জানায়, নবী, কালু, মুছা ও তিনি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন, নবী ও কালু মিতুকে ছুরিকাঘাত করে।

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত নগরীর বাকলিয়া এলাকার এহেতেশামুল হক ভোলা সরবরাহ করেছিল বলেও জবানবন্দিতে ওয়াসিম জানায়।

এরপরই পুলিশ বাকলিয়া এলাকা থেকে ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা পিস্তলটি মিতু হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয় বলে দাবি পুলিশের।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ভোলা ও মনিরকে আসামি করে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে এবং ভোলাকে মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয়জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং দুজন কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।

তবে জবানবন্দিতে আসা ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও কালুর খোঁজ পুলিশ ‘পায়নি’ তিন বছরেও।

আলোচিত এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কামরুজ্জামান। তিনি গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের দায়িত্বে থাকলেও বদলি হয়ে এখন প্রসিকিউশন শাখায় আছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুছা ও কালুকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই এ হত্যাকাণ্ডের অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

মিতু হত্যার সন্দেহভাজন কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা

এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে মুছাকে গ্রেপ্তারে কাজ চলছে বললেও তার পরিবারের দাবি, হত্যাকাণ্ডের ১৭ দিনের মাথায় মুছাকে বন্দর থানা এলাকায় এক আত্মীয়র বাসা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার ২০১৬ সালের ৪ জুলাই চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছিলেন, ২২ জুন বন্দর থানার তৎকালীন ওসি মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বন্দর এলাকায় তার এক পরিচিত ব্যক্তির বাসা থেকে মুছাকে গ্রেপ্তার করেন।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ দাবি নাকচ করে তিন মাস পর ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর সিএমপি তৎকালীন কমিশনার ইকবাল বাহার মুছা ও কালুর সন্ধান পেতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।

এদিকে ভোলা গত বছরের মে মাসে উচ্চ আদালত থেকে মিতু হত্যার মামলায় জামিন পান। তবে ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে নার্সিং শিক্ষিকা অঞ্জলী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

অঞ্জলী হত্যা মামলায়ও ভোলা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলে ডবলমুরিং থানায় তেলের ভাউজার চালক আব্দুল গফুর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এখনও তিনি কারাগারে আছেন।

মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিতুর হত্যার বিষয়ে আমরা প্রথমে বাবুলকে সন্দেহ না করলেও এখন তার দিকে আমাদের অভিযোগ।

“যেদিন তাকে ডিবি অফিস নিয়ে যাওয়া হয় সেদিনই সবকিছু তারা জানতে পেরেছে। জানতে পেরেছে বিধায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।”

মিতু হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকার বনশ্রীতে শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিলেন। তবে কয়েক মাস পর আলাদা বাসা ভাড়া করে সন্তানদের নিয়ে চলে যান।

এসপি বাবুল আক্তার (ফাইল ছবি)

শুরুতে বাবুলের প্রশংসায় শ্বশুরবাড়ির সবাই পঞ্চমুখ হলেও পরে তাকে নিয়েই তোলে অভিযোগ; অভিযোগ আসে আরেক নারীর সঙ্গে বাবুলের সম্পর্ক নিয়েও।

তবে বাবুল এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা অভিযোগ করেন, মিতুর এক বোনকে বিয়ে করতে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাতে রাজি না হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির সবাই এখন তাকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বাবুলের চাকরি ছাড়ার বিষয়ে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, এই পুলিশ কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

তবে মোশারফের দাবি, বাবুল চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করেছিলেন। চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বিধায় তিনি চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করেছিলেন। চাকরি ছাড়লে কখনও আবেদন করতেন না।

বাবুল আক্তারকে হত্যাকাণ্ডের ‘পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, “আগেও বিভিন্ন সময়ে আমরা বাবুল আক্তারের পরকীয়ার বিষয়টি নিয়ে বলেছি। তার পাশাপাশি স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক কিছুই জানা যাবে।

“আমাদের মতো পুলিশের কাছেও সে (বাবুল আক্তার) অপরাধী। অপরাধী বলেই তার চাকরি চলে গেছে। তাই বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করা পুলিশের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।”

গত দুই বছরে মামলা নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপ হয়নি বলে জানান মিতুর বাবা মোশারফ।

বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুর লাশ হত্যাকাণ্ডস্থলে

তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, “আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি। বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখেই আমাদের কাজ চলছে। কাজ গুছিয়ে এনেছি। কিছু বিষয় ঠিক করে অভিযোগপত্র জমা দেব।”

মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিতুর হত্যার বিষয়ে আমরা প্রথমে বাবুলকে সন্দেহ না করলেও এখন তার দিকে আমাদের অভিযোগ।

“যেদিন তাকে ডিবি অফিস নিয়ে যাওয়া হয় সেদিনই সবকিছু তারা জানতে পেরেছে। জানতে পেরেছে বিধায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।”

মিতু হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকার বনশ্রীতে শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিলেন। তবে কয়েক মাস পর আলাদা বাসা ভাড়া করে সন্তানদের নিয়ে চলে যান।

শুরুতে বাবুলের প্রশংসায় শ্বশুরবাড়ির সবাই পঞ্চমুখ হলেও পরে তাকে নিয়েই তোলে অভিযোগ; অভিযোগ আসে আরেক নারীর সঙ্গে বাবুলের সম্পর্ক নিয়েও।

তবে বাবুল এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা অভিযোগ করেন, মিতুর এক বোনকে বিয়ে করতে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাতে রাজি না হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির সবাই এখন তাকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বাবুলের চাকরি ছাড়ার বিষয়ে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, এই পুলিশ কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

চট্টগ্রামে গিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন মিতুর বাবা মোশাররফ ও মা সাহেদা মোশাররফ নীলা।

তবে মোশারফের দাবি, বাবুল চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করেছিলেন। চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বিধায় তিনি চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করেছিলেন। চাকরি ছাড়লে কখনও আবেদন করতেন না।

বাবুল আক্তারকে হত্যাকাণ্ডের ‘পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, “আগেও বিভিন্ন সময়ে আমরা বাবুল আক্তারের পরকীয়ার বিষয়টি নিয়ে বলেছি। তার পাশাপাশি স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক কিছুই জানা যাবে।

“আমাদের মতো পুলিশের কাছেও সে (বাবুল আক্তার) অপরাধী। অপরাধী বলেই তার চাকরি চলে গেছে। তাই বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করা পুলিশের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।”

গত দুই বছরে মামলা নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপ হয়নি বলে জানান মিতুর বাবা মোশারফ।

তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, “আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি। বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখেই আমাদের কাজ চলছে। কাজ গুছিয়ে এনেছি। কিছু বিষয় ঠিক করে অভিযোগপত্র জমা দেব।”

ঘটনাক্রম

## ২০১৬ সালের ৫ জুন: সকালে খুন হন মাহমুদা আক্তার মিতু

## ৬ জুন: চকবাজার বড় গ্যারেজ এলাকা থেকে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে। ওই দিন বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যামামলা করেন।

## ৮ জুন ও ১১ জুন: গোয়েন্দা পুলিশ হাটহাজারি উপজেলা থেকে আবু নসুর গুন্নু ও বায়েজিদ বোস্তামী থানার শীতল ঝর্ণা থেকে শাহ জামান ওরফে রবিন নামে দুজনকে গ্রেপ্তারের খবর জানায়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিতু হত্যাকাণ্ডে এই দুজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

## ২৪ জুন: ঢাকার বনশ্রীর শশুর বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

## ৬ জুন: মো. আনোয়ার ও মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম নামে দুজনের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করে পুলিশ। ওইদিন তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

## ২৮ জুন: বাবুল আক্তারের অন্যতম সোর্স এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। যেটি মিতু হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হয় বলে পুলিশের দাবি।

## ১ জুলাই: মোটর সাইকেল সরবরাহ করার অভিযোগে মুছার ভাই সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

## ৪ জুলাই: মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মুছাকে আদালতে হাজির করার দাবি করেন। ২২ জুন বন্দর থানা এলাকায় তাদের এক পরিচিত জনের বাসা থেকে মুছাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

## ৫ জুলাই: ভোরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ঠান্ডাছড়িতে নুরুল ইসলাম রাশেদ ও নুরুন্নবী নামে দুইজন পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

## ১৩ অগাস্ট স্ত্রীকে নিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের নিরবতা ভাঙেন বাবুল আক্তার।

## ৬ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

## ১ নভেম্বর: ঢাকার বেসরকারি আল-দ্বীন হাসপাতালে সহযোগী পরিচালক হিসেবে বাবুল আক্তার যোগদান করেন।

## ২২ নভেম্বর: ভোলা ও মনিরকে অভিযুক্ত করে পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে গ্রহণ।

## ১৫ ডিসেম্বর: তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে চট্টগ্রাম আসেন বাবুল আক্তার।

## ২০১৭ সালের জানুয়ারি: বাবুলের বাবা-মা ও শ্বশুর মোশারফ হোসেন ও শ্বাশুড়ি সাহেদা মোশারফ নীলা চট্টগ্রাম এসে দেখা করেন তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে।

## ১৪ ফেব্রুয়ারি: ভোলার লালমোহন এলাকা থেকে মিতুর মোবাইল ফোনের সিম উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।